বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ আর জরিপে দেখা গেছে বিবাহিত জীবনে যারা সুখী তাদের রোগশোকে ভোগার পরিমাণ কম। মানসিক প্রশান্তি বেশি আর বাঁচেও বেশিদিন।
সম্পর্কবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই ধরনের গবেষণার ভিত্তিতে করা প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে জানা যায়, সুখী বিবাহিত জীবন মানে সুস্বাস্থ্য।
মানসিক চাপ কম
সাইকোনিউরোএন্ডোক্রিনোলজিতে প্রকাশিত কার্নেগি মেলন ইউনিভার্সিটির এক গবেষণা থেকে জানা যায়, অবিবাহিতদের তুলনায় বিবাহিতদের মধ্যে ‘স্ট্রেস হরমোন কর্টিসোল’য়ের মাত্রা কম। কর্টিসোলের মাত্রা বেশি থাকলে তা জীবনধারণের নানা রকমের রোগের সৃষ্টি করে। বিবাহিত ব্যক্তিদের মধ্যে ধীরে ধীরে কর্টিসোলের মাত্রা কমে যায়।ক্যান্সার থেকে নিরাময়
ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া’র এক গবেষণায় দেখা যায়, অবিবাহিতদের তুলনায় ক্যান্সার আক্রান্ত বিবাহিত মানুষ অনেক বেশি বাঁচে। এটা স্বাস্থ্যবীমা, আর্থিক স্বচ্ছলতা এবং সামাজিক সহযোগিতার কারণেও হতে পারে।হৃদরোগ থেকে রক্ষা
ফিনল্যান্ডের টার্কু ইউনিভার্সিটি’র গবেষকদের পরিচালিত পর্যবেক্ষণ থেকে জানা যায়, বিবাহিত নারীদের মধ্যে ‘হার্ট অ্যাটাক’ হওয়ার ঝুঁকি ৬৫ শতাংশ পর্যন্ত কম থাকে। বিবাহের মাধ্যমে দাম্পত্য জীবন মানসিক অবসাদ কমাতে সাহায্য করে।তবে উচ্চ মাত্রার কোলেস্টেরল হৃদরোগ এবং অন্যান্য রোগের সঙ্গে সম্পৃক্ত।
মানসিক অসুস্থতা কম হয়
১৯৯১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সামাজিক মনোবিজ্ঞানী লি রবিন্স এবং ডারেল রিজিয়ার এক গবেষণায় জানান, বিবাহিতদের নানা ধরনের মানসিক রোগ যেমন- দুশিন্তার প্রবণতা, হতাশা ইত্যাদির ঝুঁকি কমে যায়।দীর্ঘায়ু
বিয়ে মানুষের আয়ু বাড়াতে সাহায্য করে, অন্তত ১০ বছর। ডিউক ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টার’য়ের আইলিন সিয়েগলারের গবেষণা থেকে জানা যায়, মধ্য বয়সে বা শেষ বয়সের বিয়ে আগাম মৃত্যুর হাত থেকে সুরক্ষা দেয় করে।ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের ইন্সটিটিউট অব এডুকেশন ৯ হাজার ব্যক্তির উপর একটি গবেষণা চালায়। যেখানে দেখা যায়, অবিবাহিতদের তুলনায় বিবাহিত দম্পতিরা বেশি সুস্থ থাকে এবং দীর্ঘদিন বাঁচে।