১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ পেলেন বিনিয়োগকারীরা

প্রকাশ: ২০১৭-১২-২১ ২০:৫৮:০৫


001পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রযুক্তিখাতের কোম্পানি দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেডের ১১তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় নরসিংদীর চরসিন্দুর দেশবন্ধু পলিমারের নিজস্ব কারাখানা প্রাঙ্গনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দেশবন্ধু পলিমারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম রহমানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন কোম্পানির স্বতন্ত্র পরিচালক মফিজ উদ্দিন চৌধুরী, কোম্পানির পরিচালক মো. আখেরুজ্জামান প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন কোম্পানি সচিব মো. লিয়াকত আলী খান।

এর আগে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করে।  যা সভায় শেয়ার হোল্ডারদের উপস্থিতিতে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের হিসাব, পরিচালকমণ্ডলী ও নিরীক্ষকদের প্রতিবেদন গ্রহণ ও অনুমোদন করা হয়। একইসঙ্গে শেয়ারহোল্ডারদের সর্ব সম্মতিতে সবগুলো এজেন্ডা অনুমোদন করা হয়।

সভায় জানানো হয়, নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফার পরিমাণ ২ কোটি ৩ লাখ ৮২ হাজার ২৭০ টাকা। আর শেয়ারপ্রতি আয় ৩৭ পয়সা। যা গত বছর ছিলো মাত্র ১৯ পয়সা।

সভায় দেশবন্ধু পলিমারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম রহমান বলেন, এ বছর মোট উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ছয় কোটি ২০ লাখ ৪৫ হাজার পিস পি.পি ওভেন ব্যাগ। এর মধ্যে আমরা দুই কোটি ৮৭ লাখ ১৮ হাজার ৪৯৫ পিস পিপি ওভেন ব্যাগ উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছি। যা গত বছর ছিল  ২ কোটি ১৩ লাখ ১৮ হাজার ৪৮৫ পিস পি.পি ওভেন ব্যাগ।  অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে ৭৪ লাখ পিস। এ সময় নিটট মুনাফা হয়েছে ২ কোটি ৩ লাখ ৮২ হাজার ২৭০ টাকা। যা গত অর্থবছরের চেয়ে প্রায় ১ কোটি টাকা বেশি। গত বছর এ সময় নিট মুনাফা ছিল ১ কোটি ৪ লাখ ৯ হাজার ৯৯৫ টাকা।

সভায় গোলাম রহমান বলেন, বর্তমানে বিদ্যুৎ, গ্যাস, ব্যাংক সুদের হার ও অন্যান্য আনুসঙ্গিক ব্যয় বৃদ্ধির কারণে অভ্যন্তরীণ এবং আমদানি সংশ্লিষ্ট সব ব্যয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বেড়েছে। তাছাড়া পিপি ব্যাগের উপর সরকারি বিধি নিষেধের কারণে বর্তমান বাজারে পিপি ব্যাগের চাহিদা কম। ফলে নানামুখী প্রতিকূলতার মধ্যেও প্রতিযোগিতার মধ্যে আমাদের পণ্য বাজারজাত করতে হয়েছে।

গোলাম রহমান  আরও বলেন, উক্ত প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠতে আগামীতে ব্যাপক পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে দেশবন্ধু পলিমার। যার অংশ হিসেবে দেশবন্ধু পলিমার ২ প্লাই সিমেন্ট ব্যাগ উৎপাদন করবে। ইতোমধ্যে যন্ত্রপাতি আমদানি করা হয়েছে। যার ৯৯ শতাংশ স্থাপনের কাজ সম্পূর্ন হয়েছে। ফলে বর্তমানের চেয়ে আগামী বছর উৎপাদন আরও ২০ ভাগ বেশি হবে।  এছাড়া নতুন টেপ লাইন ও ১২টি লুম মেশিন আসছে। যা আগামী মার্চে স্থাপন হবে। এবং  এপ্রিলের প্রথম দিন থেকে উৎপাদন শুরু হবে। তখন উৎপাদন দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাবে।  এমনকি আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে আমাদের উৎপাদিত নতুন পণ্য জাম্বু ব্যাগ রফতানি করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা করেন।

তিনি বলেন, পরিকল্পনা অনুয়ায়ী সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী বছর কোম্পানির মুনাফা উল্লেখ্যযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে। যা কোম্পানির পাশাপাশি ভবিষ্যতে কোম্পানির শেয়ার হোল্ডারগণও লাভবান হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।