মাদক নির্মূলে দেখামাত্র গুলি চালাতে চান মন্ত্রী ফিজার

প্রকাশ: ২০১৮-০১-০৩ ১১:৪৫:৪৫


Fizar-Ministerমাদক নির্মূলে জাতীয় ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে দেখা মাত্র গুলি চালানোর পরামর্শ দিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ২৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার ঢাকার তেজগাঁওয়ে অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রীর এই কথা শুনে করতালি দিয়ে স্বাগত জানান অনেকে।

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “আমাদের দেশ সব সম্ভবের দেশ। এটাকে (মাদক) শিকড়সহ তুলতে গেলে… নির্মূল হবে না.. হবে না করবেন না। হবে… ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট বলতে যেটা বোঝায়।

“আমার ধারণা, খুব চিন্তা করে দেখেছি। আমাকে যদি মাদকের বিরুদ্ধে, প্রাথমিকে না দিয়ে এখানে দিত, আমি সাজেশন দিতাম, এটার জন্য তিন মাস শুধু আলাপ করবেন।

“তিন মাস আলাপ হবে এটাকে এক নম্বর সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করি কি না? মাওলানা সাহেব বলেন, পুরোহিত সাহেব বলেন,স্কুল মাস্টার বলেন, সুশীল সমাজ বলেন, সাংবাদিক ভাই বলেন, মানবাধিকার কর্মী বলেন, আপনারা চান কি না, এই সমস্যা আমরা শেষ করব।

“যদি বন্ধ আমরা করতে চাই, তাহলে কে ক্যারিয়ার, কে রাজনীতিবিদের ছেলে, কে মেয়ে, কে ইউনিভার্সিটিতে পড়ে, কে জজ সাহেব, কে সেনাবাহিনী, কে পুলিশ, কে আনসার, কারা খায়, আমরা একটা টাইম ফ্রেম করতে পারি। মার্চ মাস পর্যন্ত সময় দিয়ে দেবেন। এই তিন মাসের মধ্যে ইমান ঠিক করে নাও ভাই। পয়লা এপ্রিল থেকে অ্যাকশন শুরু হবে। প্রত্যেক জেলা শহরে বড় বড় ময়দান আছে। সেই ময়দানে গিয়ে যারই ছেলে-মেয়ে হবে.. যেই পয়লা এপ্রিলে ধরা পড়বে..শুট অ্যাট সাইট।”
র‌্যাব-পুলিশের কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহতের ঘটনা নিয়ে সমালোচনার মধ্যেই বিচারবহির্ভূত হত্যার এই পরামর্শ এল মন্ত্রীর কাছ থেকে।

মোস্তাফিজুর বলেন, “আমার কথাটা খুব অপ্রিয় মনে হতে পারে কারও, কিন্তু এই সমস্যাটা এমনই.. এটা সমাধানে ঐকমত্য লাগবে। কেউ বলবেন, মানবাধিকার গেল।

“শুট অ্যাট সাইট’, কার ছেলে কার মেয়ে …যে ধরা পড়বে..এটা ৫০৮ টা উপজেলায়, ৬৪ জেলায় করতে হবে না। ১০টাতে করলেই বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু সব দল মিলে বলতে হবে- এটা কর।”

মাদক নির্মূলে অঙ্গীকার, তৎপরতার পরও তা থেকে মুক্ত না হওয়াই এই চরম পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়ার কারণ হিসেবে দেখান মন্ত্রী।

মাদক নিরাময় কেন্দ্র বাড়িয়েও এই সমস্যা থেকে মুক্ত হওয়া সম্ভবপর নয় বলে তার মত।

“আরও এক লক্ষ নিরাময় কেন্দ্র, ৫০৮টা উপজেলায় যদি ২৫টা করে নিরাময় কেন্দ্র করেন, প্রত্যেকটা ইউনিয়নে যদি একটা করেন তাহলে হবে? না..এটা হবে না। আমি বলে দিই, আমার মৃত্যুর ১০০ বছর পরও পারবেন না।”

অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি টিপু মুন্সি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (সুরক্ষা বিভাগ) ফরিদ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, কারা মহাপরিদর্শক সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জামাল উদ্দিন আহমেদ, মাদক নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের সদস্য ডা. অরূপ রতন চৌধরী, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম বক্তব্য রাখেন।