খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তা এখন আকাশচুম্বী
প্রকাশ: ২০১৮-০২-১৭ ২২:৫০:৫৩
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে নেয়া বর্তমান সরকারের নয় বছরের সবচেয়ে বড় ভুল বলে মনে করেন ২০ দলীয় জোটের শরিক এলডিপির সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল অলি আহমেদ।
শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘স্বাধীনতার ৪৭ বছর: গণতন্ত্রের সংকট’ শিরোনামে আলোচনায় এ কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও’ আন্দোলন নামে একটি সংগঠন।
অলি আহমেদ বলেন, সরকার বেগম জিয়াকে জেলে দিয়ে পুনরায় ধরা পরেছে, গত ৯ বছরের সবচেয়ে বড় ভুল করেছে খালেদাকে জেলে দিয়ে। সরকারের ভুল সিদ্ধান্ত, প্রতিশোধপরায়ণতা ও প্রতিহিংসার কারণে খালেদা জিয়া ও বিএনপির জনপ্রিয়তা এখন আকাশচুম্বী।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে, আইন লঙ্ঘন করে, সংবিধান না মেনে নির্জন-পরিত্যক্ত কারাগারে বন্দি করার কারণে সরকারের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
আওয়ামী লীগ কোনো দিনই ‘সঠিক’ নির্বাচনে ক্ষমতায় আসতে পারেনি দাবি করে অলি আহমেদ বলেন, ‘৭১-এর পর তারা যতবার ক্ষমতায় এসেছে কোনো না কোনোভাবে দুর্নীতি করে এসেছে।’
আলোচনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এমাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিক মামলায় গ্রেফতারের মাধ্যমে দেশকে গণতন্ত্রহীন করতে চায় সরকার। এটা কোনো অবস্থাতেই মেনে নেয়া যায় না।’
‘পাবলিক ব্যাংকে লুট হচ্ছে, শেয়ারবাজার লুট হয়ে গেছে, গোটা দেশ দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে। এ ব্যাপারে সরকারের কোনো উদ্যোগ নেই। অথচ মিথ্যা মামলায় যেখানে এক টাকাও চুরি হয়নি, সেই মামলায় খালেদা জিয়াকে বন্দি করা হয়েছে।’
খালেদা জিয়াকে এ গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে সরকার ২০১৪ সালের মতো আবার ক্ষমতা ‘দখল করতে চায়’ বলেও মন্তব্য করেন বিএনপিপন্থী এই বুদ্ধিজীবী।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা, উন্নয়ন, গণতন্ত্র এসবের সঙ্গে জিয়া একাকার হয়ে গেছেন মন্তব্য করে এমাজউদ্দিন বলেন, ‘জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র পক্ষান্তরে বাংলাদেশের সঙ্গেই ষড়যন্ত্র।’
আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে বন্দির মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকে নতুন করে হত্যা করা হল। বর্তমান সরকার ২০১৪ সালের মতো আবার ক্ষমতা দখল করতে চায়। এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ফরমায়েশি রায় দিয়ে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে আলোচনায় আরও বক্তব্য দেন প্রেসক্লাবের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী, বিএনপির গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক সেলিম ভূইয়া প্রমুখ।