প্রার্থী প্রত্যাহারে ২০ দলীয় জোটকে অপেক্ষায় রাখলো জামায়াত

প্রকাশ: ২০১৮-০৪-০৭ ১৩:৪৪:১৩


gazipur-bg-2018খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে তৃতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হলো বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের বৈঠক। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়।

জোট সমন্বয়কারী হিসেবে প্রথমবারের মতো এ বৈঠক আহ্বান করেন বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠকে চলমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পরবর্তী করণীয় নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে গণমাধ্যমে কিছু বলা হয়নি।

বৈঠকের উপস্থিত ছিলেন জোটের এমন কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা হয়। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবির আন্দোলন এবং আসন্ন গাজীপুর এবং খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গ নিয়ে বৈঠকে মূল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। ২০দলীয় জোটের ব্যানারে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নেয়ার ব্যাপারে অনেকে ঐক্যমত হলেও এ ব্যাপারে জামায়াতে ইসলামী চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাতে পারেনি। ইতোমধ্যেই তারা দলগতভাবে প্রার্থী দিয়েছে। জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য আব্দুল হালিম সভায় জানান, জোটের ঐক্য ধরে রাখার জন্য তারা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবে। আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ২০দলীয় জোটের ব্যানারে অংশ নেয়ার ব্যাপারে জামায়াতের উচ্চ পর্যায়ের নীতিনির্ধারণী ফোরাম থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানোর কথা বলেন তিনি।

আরও জানা গেছে, সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ২/৩দিনের মধ্যে ২০দলীয় জোটের পক্ষ থেকে দুটি সমন্বয় কমিটি করা হবে। পাশাপাশি খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন আরও সক্রিয় করার ব্যাপারে জোট নেতারা একমত হন। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বিকেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কারাগারে যেসব আলোচনা করেছেন সে বিষয়ে জোট নেতাদের অবহিত করেন এবং ঐক্যবদ্ধ থাকার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসনের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানানো হয় সভায়।

বৈঠক সম্পর্কে বাংলাদেশ ন্যাপ এর মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূইয়া বলেন, ‘দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জোটগতভাবে প্রার্থী দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবেই নির্বাচন করব। প্রার্থী প্রত্যাহারের বিষয়টি জামায়াত তাদের দলীয় বৈঠকে আলোচনা করে ২০ দলীয় জোটকে জানানোর আশ্বাস দিয়েছে।’

বৈঠকে অন্যদের মধ্যে জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক, এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, মহাসচিব এমএম আমিনুর রহমান, এনপিপির সভাপতি ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাগপার সভাপতি অধ্যাপিকা রেহেনা প্রধান, বিজেপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আবদুল মতিন সাউদ, এনডিপি চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, লেবার পার্টির (একাংশ) চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, অপর অংশের চেয়ারম্যান এমদাদুল হক চৌধুরী, ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাঈদ আহমেদ, জমিয়তে ওলামার ইসলাম (ওয়াক্কাস) সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মুফতী মহিউদ্দিন ইকরাম, পিপলস লীগ মহাসচিব এডভোকেট সৈয়দ মাহবুব হোসেন, বিএমএল সহ-সভাপতি শহিদুল্লাহ ফকির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।