রোযায় মার্সেলের অর্ধ-শতাধিক বৈচিত্র্যময় মডেলের ফ্রিজ
আপডেট: ২০১৮-০৬-০২ ০৪:৫৭:৫৬
আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে পবিত্র রমজান মাস। চলছে গরমকাল-গ্রীষ্ম। এই সময়ে দেশে রেফ্রিজারেটর বা ফ্রিজের চাহিদা থাকে বেশি। বাজারের এই বাড়তি চাহিদা মেটাতে রোযায় অর্ধ-শতাধিক বৈচিত্র্যময় মডেলের ফ্রিজ নিয়ে প্রস্তুত দেশীয় ব্র্যান্ড মার্সেল। নতুন এনেছে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তির ফ্রস্ট ও নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর। এছাড়াও ক্রেতাদের জন্য রয়েছে টেম্পারড গøাস ডোরে তৈরি আকর্ষণীয় মডেলের ফ্রস্ট ফ্রিজ।
বাজার প্রবণতা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, রমজান মাসে প্রতিবছরই ফ্রিজের চাহিদা ও বিক্রি বাড়ে। তবে, এবছর রোযা শুরু হচ্ছে জৈষ্ঠ্য মাসে। এ সময় তুলনামূলক বেশি গরম পড়ে। তাই স্থানীয় বাজারে গত রমজান মাসের তুলনায় এবার ফ্রিজের চাহিদা কিছুটা বাড়বে।
জানা গেছে, রোযায় ফ্রিজ বিক্রি বাড়াতে কিছু বিশেষ পরিকল্পনা নিয়েছে দেশীয় ব্র্যান্ড মার্সেল। নিজস্ব কারখানায় তৈরি সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ৬৬ মডেলের ফ্রিজ বাজারে ছেড়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ৫২ মডেলের ফ্রস্ট, ২ মডেলের নন-ফ্রস্ট ও ১২ মডেলের ডিপ ফ্রিজ।
বিক্রয়োত্তর সেবাকে অন-লাইন কার্যক্রমের আওতায় আনতে দেশব্যাপী আবারো ডিজিটাল ক্যাম্পেইন শুরু করেছে মার্সেল। এর আওতায় দেশব্যাপী বিস্তৃত মার্সেল শোরুম থেকে রোযায় ক্রেতারা মার্সেল ফ্রিজ, টিভি, এসি কিনে রেজিস্ট্রেশন করলেই ক্রেতারা পেতে পারেন ফ্রিজ, টিভি অথবা এসি সম্পূর্ণ ফ্রি কিম্বা আমেরিকা ও রাশিয়া ভ্রমনের সুযোগ। ওইসব সুবিধা না পেলেও মিলবে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত নিশ্চিত নগদ ছাড়।
মার্সেল ফ্রিজের সেলস বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, রমজানে মার্সেলের নতুন চমক টেম্পারড গøাসডোর ও ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইন্টেলিজেন্ট ইনর্ভাটার প্রযু্িক্তর রেফ্রিজারেটর। রূচিশীল গ্রাহকদের জন্য টেম্পারড গøাস ডোরের ১১ টি বৈচিত্র্যময় মডেলের ফ্রস্ট ফ্রিজ রয়েছে তাদের। আরো আছে ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইনভার্টার প্রযুক্তির কম্প্রেসার সম্বলিত ২ মডেলের নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর।
ফ্রিজ গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের প্রকৌশলীরা জানান, রোযায় গ্রাহকদের হাতে সেরা দামে সেরা পণ্যটি তুলে দিতে নিজস্ব কারখানায় বিশ্বের লেটেস্ট প্রযুক্তির ফ্রিজ উৎপাদন করছে মার্সেল। কালার ও ডিজাইনে আনা হয়েছে বৈচিত্র্য। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সংযোজন করা হয়েছে ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তির কম্প্রেসার। যাতে ব্যবহার করা হয়েছে বিশ্বস্বীকৃত সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব এইচএফসি গ্যাসমুক্ত আর৬০০ এ রেফ্রিজারেন্ট। সাধারণ প্রযুক্তির ফ্রিজের তুলনায় মার্সেল ফ্রিজে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়।
তারা আরো জানান, মার্সেল ফ্রিজ ব্যবহার করা হচ্ছে বিষ্ময়কর ন্যানো হেলথ কেয়ার প্রযুক্তি। যা ফ্রিজের ভেতরে সংরক্ষিত খাবারকে সতেজ রাখার পাশাপাশি ব্যাকটেরিয়া ও দূর্গন্ধমুক্ত রাখে। ফলে, মার্সেল ফ্রিজে সংরক্ষিত খাবারের পুষ্টিগুণ থাকে অক্ষুন্ন।
মার্সেল সেলস বিভাগের প্রধান ড. মো. সাখাওয়াৎ হোসেন জানান, সারা বছরের বিক্রির যে টার্গেট তার ২১ শতাংশ বিক্রির আশা করছেন রমজান মাসে। যা পূরণে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির অর্ধ-শতাধিক বৈচিত্র্যময় মডেলের ফ্রিজ রোযায় ছাড়া হয়েছে। তার প্রত্যাশা- রমজানে ফ্রিজের বাড়তি চাহিদার সিংহভাগ পূরণে সক্ষম হবে মার্সেল।
তিনি আরো জানান, স্থানীয় ফ্রিজের বাজারের ৪০ শতাংশেরও বেশি অংশ মার্সেলের। তার প্রত্যাশা- ফ্রিজ বিক্রিতে প্রবৃদ্ধির এই ধারাবাহিকতা চলতি বছরও বজায় থাকবে।
সূত্রমতে, নাসদাত ইউনিভার্সাল টেস্টিং ল্যাব থেকে মান নিশ্চিত হয়ে মার্সেলের প্রতিটি ফ্রিজ বাজারে ছাড়া হচ্ছে। উচ্চ গুণগতমান নিশ্চিত করায় মার্সেল ফ্রিজে গ্রাহকরা পাচ্ছেন এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টির সুবিধা। এছাড়াও, মার্সেল ফ্রিজের কম্প্রেসারে সর্বোচ্চ ১০ বছরের ওয়ারেন্টি সুবিধাসহ ৫ বছরের ফ্রি বিক্রয়োত্তর সুবধিা রয়েছে ।
আইএসও সনদপ্রাপ্ত সার্ভিস ম্যানেজমেন্টের আওতায় দেশব্যাপী ৭০টিরও বেশি সার্ভিস সেন্টার থেকে বিক্রয়োত্তর সেবা দেয়া হচ্ছে। হোম সার্ভিসও দেয়া হচ্ছে। গ্রাহকরা যেকোন মোবাইল থেকে ১৬২৬৭ নম্বরে কল করে বছরের ৩৬৫ দিনই পাচ্ছেন কাঙ্খিত সেবা। তথ্য প্রাপ্তির পর গ্রাহকের বাড়িতে দ্রæত পৌঁছে যাচ্ছে সার্ভিস প্রোভাইডার। মার্সেলের এই সেবা এরইমধ্যে ব্যাপক প্রসংশিত হয়েছে। বিক্রয়োত্তর সেবায় খুব শিগগীরই অনলাইন ভিত্তিক সেবা চালু হচ্ছে। গ্রাহক ঘরে বসেই জানতে পারবেন পণ্যটি কোন পর্যায়ে আছে, কখন ডেরিভারি ইত্যাদি। শুধু তাই নয়, গ্রাহককে ওয়ারেন্টি কার্ড বহনেরও দরকার নেই। মার্সেল সার্ভারেই সব সংরক্ষিত থাকবে।