ব্যবসা সম্প্রসারণে বাজারে আসছে এমএল ডায়িং

প্রকাশ: ২০১৮-০৭-১২ ০০:৫০:৪২


সম্প্রতি প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের ( আইপিও) অনুমোদন পাওয়া কোম্পানি এমএল ডাইং ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করতে চায়। ইতোমধ্যে কোম্পানির চাঁদাগ্রহণও শুরু হয়েছে।

তবে গত ৫ বছরে অধিকাংশ সময়ে কোম্পানিটির মুনাফা কমেছে। পাশাপাশি শেয়ার প্রতি আয়েও ছিল নেতিবাচক ধারা। অবশ্য ২০১৭ সালের জুন শেষে কোম্পানির মুনাফা বেড়েছে। আইপিওর মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করে ব্যবসা সম্প্রসারণ করলেও মুনাফা বাড়বে কিনা তা নিয়ে বিনিয়োগকারীসহ সংশ্লিষ্টদের মধ্যে সংশয় দেখা দিয়েছে।ml-dyeing-sunbd24

কোম্পানির কর্মকর্তারা বলছেন, কোম্পানি বাজার থেকে উত্তোলিত অধিকাংশ অর্থই ব্যবসা সম্প্রসারণে ব্যয় করবে। এতে মুনাফা ধারাবাহিকভাবে বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রসপেক্টাসে দেয়া তথ্যমতে, ২০১৭ সালের জুন শেষে কোম্পানিটির করপরবর্তী মুনাফা হয়েছে ২২ কোটি ২২ লাখ টাকা, এ সময় শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৫৮ পয়সা। এর আগে ২০১৩ সালে কোম্পানিটি করপরবর্তী মুনাফা হয়েছিল ৬৮ কোটি ৮ লাখ টাকা, ওই সময় কোম্পানির ইপিএস হয়েছিল ৪ টাকা ৮৫ পয়সা। পরের বছর করপরবর্তী মুনাফা কমে দাঁড়িয়েছে ৫৭ কোটি ২ লাখ টাকা এবং ইপিএস ৪ টাকা ৬ পয়সা। ২০১৫ সালের জুন শেষে কোম্পানির করপরবর্তী মুনাফা হয়েছে ১৮ কোটি ৬৬ লাখ টাকা এবং ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৩৩ পয়সা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে মুনাফায় বড় ধরনের হোঁচট খেয়েছে। ২০১৬ সালের জুন শেষে কোম্পানির করপরবর্তী মুনাফা হয়েছে ১৬ কোটি ৬১ লাখ টাকা এবং ইপিএস ১ টাকা ১৮ পয়সা। করপরবর্তী মুনাফা এবং ইপিএস পাঁচ বছরের মধ্যে চার বছর ধারাবাহিক ভাবে কমেছে। আর আইপিওর অর্থ সংগ্রহের পর মুনাফা বাড়বে কি না তা নিয়েই বিনিয়োগকারীসহ সংশ্লিষ্টদের মধ্যে সংশয় দেখা দিয়েছে।

এ সম্পর্কে কোম্পানি সচিব একেএম আতিকুর রহমান বলেন, আমাদের কোম্পানির ব্যাংক ঋণের পরিমাণ খুবই কম। তাই ব্যাংক ঋণ পরিশোধের জন্য নয়, আইপিওর মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থের অধিকাংশই ব্যবসা সম্প্রসারণে ব্যয় করা হবে। এর মাধ্যমে কোম্পানির পণ্য উৎপাদন বাড়বে। যার মাধ্যমে করপরবর্তী মুনাফা বাড়ার সম্ভাবনাই বেশি।

পুঁজিবাজার থেকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিওর) মাধ্যমে ২০ কোটি টাকা সংগ্রহ করার জন্য চাঁদা গ্রহণ চলছে এমএল ডায়িং লিমিটেডের। প্রসপেক্টাসের দেয়া তথ্যমতে, উত্তোলিত অর্থের ১৭ কোটি ৮৩ লাখ টাকা ব্যয় করবে মেশিনারিজ ক্রয়ে। যা উত্তোলিত অর্থের প্রায় ৮৯ শতাংশ। এ অর্থ সঠিক ব্যবহার করতে পারলে পণ্য উৎপাদন, বিক্রি এবং মুনাফা বাড়বে বলে মনে করছেন কোম্পানির কর্মকর্তারা।

এমএল ডায়িং লিমিটেড রপ্তানিমুখী স্যুয়েটার কারখানায় ব্যবহৃত সুতা রং ও ফিনিংশিং করে থাকে। ২০০২ সালে উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করে এ কোম্পানি। বর্তমানে কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ১৪০ কোটি টাকা। আইপিওর পর মুলধন দাঁড়াবে ১৬০ কোটি টাকা। আইপিওর টাকায় সম্প্রসারিত ইউনিটটি চাঁদাগ্রহণ শেষ হওয়ার পরবর্তী ২১ মাসের মধ্যে উৎপাদনে আসবে।

উল্লেখ, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ৬৪৪ তম কমিশন সভায় এমএল ডাইং লিমিটেডকে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে ২ কোটি শেয়ার ছেড়ে ২০ কোটি টাকা উত্তোলেনর অনুমোদন দেয়। কোম্পানির ইস্যু ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেছেন এনবিএল ক্যাপিটাল অ্যান্ড ইক্যুয়িটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড এবং রূপালী ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। কোম্পানির চাঁদা গ্রহণ গত ৮ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে, যা চলবে ১৯ জুলাই পর্যন্ত।