১৫৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ, অগ্রণীর চার কর্মকর্তা কারাগারে
ডেস্ক আপডেট: ২০১৮-০৭-১৮ ২৩:৫৭:৪৭
রাষ্ট্রায়ত্ব অগ্রণী ব্যাংকের ১৫৫ কোটি ৪৪ লাখ ৫৩ হাজার টাকা আত্মসাতের মামলায় ব্যাংকটির সাবেক ও বর্তমান চার কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আকবর হোসেন মৃধার আদালতে মামলার আসামি হিসেবে ওই ব্যাংকের সাবেক ও বর্তমান পাঁচ কর্মকর্তা আত্মসমর্পণ করেন। এদের মধ্যে শুধু একজনের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
পাঁচ কর্মকর্তার মধ্যে আছেন- অগ্রণী ব্যাংকের আগ্রাবাদ করপোরেট শাখার সাবেক উপ-মহাব্যবস্থাপক নূরুল আমিন (৫৬), সাবেক সহকারী মহাব্যবস্থাপক জোনায়েদ বোগদাদী (৬১), সাবেক সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার উদয় কুমার বিশ্বাস (৬৩), প্রিন্সিপাল অফিসার শাহজাদুল আলম (৪৯) ও সহকারি মহাব্যবস্থাপক ইয়াসিন ফারুকী (৫৬)।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী কাজী সানোয়ার আহমেদ লাবলু সারাবাংলাকে বলেন, ‘জোনায়েদ বোগদাদীর হজে যাওয়ার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এজন্য তার জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। বাকি চারজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।’
দেশের অন্যতম বড় শিল্প গ্রুপ মেসার্স ইলিয়াছ ব্রাদার্সের (এমইইবি) বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এই মামলায় আসামি হিসেবে আছেন ১১ জন, যার মধ্যে এমইবি গ্রুপের ৬ জন এবং অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক ও বর্তমান ৫ জন কর্মকর্তা আছেন।
মামলায় এমইবি গ্রুপের যারা আসামি হিসেবে আছেন তারা হলেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ সামশুল আলম (৫০), পরিচালক নূরুল আলম (৪২), চেয়ারম্যান নূরুল আবছার (৪৯), পরিচালক জয়নাব বেগম (৬৪), কামরুন্নাহার বেগম (৪২) ও তাহমিনা বেগম (৩৪)।
চলতি বছরের ১৬ মে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয়ের উপ পরিচালক সামছুল আলম বাদি হয়ে নগরীর ডবলমুরিং থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এজাহারে বলা হয়, অভিযুক্ত এমইবি গ্রুপের কর্মকর্তারা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ইন্দোনেশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানি করেন। কিন্তু ঋণ পরিশোধ না করে ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে যথাক্রমে ৪৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকা, ৪৬ কোটি ৪৯ লাখ ২৮ হাজার টাকা এবং ৬৩ কোটি ৩৬লাখ ২৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন।