সিএসই লেনদেন চলবে রহিম ফুডের
ডেস্ক প্রকাশ: ২০১৮-০৭-১৯ ১৪:৫০:৪৫
আজ চট্টগ্রাম স্টক একচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন চলবে রহিম ফুড করপোরেশন লিমিটেডের। ডিএসইর মতো এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরিকল্পনা নেই বলে অর্থসূচককে জানিয়েছেন সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সাইফুর রহমান মজুমদার। তবে সিএসই বেশ কয়েকটি কোম্পানি নিয়ে কাজ করছে বলে জানান তিনি।
সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, কোনো কোম্পানিকে তালিকাচ্যুত করতে হলে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে করতে হয়। তাই আমরা এমন কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় সিএসইতে লেনদেন চলবে। উৎপাদন বন্ধ রয়েছে এমন বেশ কয়েকটি কোম্পানি নিয়ে সিএসই কাজ করছে বলে জানান তিনি।
এদিকে গতকাল ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ তালিকাভুক্ত ২ কোম্পানি রহিমা ফুড এবং মডার্ন ডাইং অ্যান্ড স্ক্রিন প্রিন্টিং কে তালিকাচ্যুত করেছে। যার কারণে আজ ডিএসইতে কোম্পানি ২টির লেনদেন হবে না।
এমনকি ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেটেও এই শেয়ার পাওয়া যাবে না। তবে পরবর্তীতে পুঁজিবাজারে ফিরে আসার সুযোগ আছে কোম্পানি দুটির। এ জন্য ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরুর পাশাপাশি সব ধরনের আইনি শর্ত মেনে পুনঃতালিকাভুক্তির আবেদন করতে হবে।
গতকাল ডিএসইতে রহিমা ফুডের শেয়ার সর্বশেষ ১৭৪ টাকা ৩০ পয়সায় কেনাবেচা হয়েছে। কোম্পানিটির মোট শেয়ার ২ কোটি ২০০টি। এর ৩৭ দশমিক ৩৮ শতাংশের মালিক উদ্যোক্তা-পরিচালকরা। বাকি শেয়ারের প্রায় ৩৭ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের। অন্য শেয়ার প্রাতিষ্ঠানিক ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে রয়েছে। কোম্পানিটির ব্যবসায়িক কার্যক্রম অন্তত তিন বছর ধরে বন্ধ। পৌনে ২ বছর আগেও শেয়ারটি ৫০ টাকায় কেনাবেচা হয়েছিল। ১ বছর আগে এর বাজারদর ২০০ টাকা ছাড়ায়।
আর মডার্ন ডাইংয়ের কার্যক্রম অন্তত ১০ বছর ধরে বন্ধ। কোম্পানির স্থাপনা ভাড়া দিয়ে কিছু আয় করে। এ কোম্পানির প্রায় ৬৫ শতাংশ শেয়ারের মালিক উদ্যোক্তা-পরিচালকরা। ৩০ শতাংশের মালিক সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। গতকালও শেয়ারটি সোয়া ৮ শতাংশ বেড়ে ৩২৬ টাকা ৯০ পয়সায় কেনাবেচা হয়েছে। ২৯ মে থেকে ২ জুলাইয়ের মধ্যে দর ১৯০ থেকে বেড়ে ৪২৫ টাকা ছাড়ায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। লোকসানী কোম্পানি হওয়ার পরেও অস্বাভাবিক হারে দর বৃদ্ধি ও কারসাজির কারণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিএসই পর্ষদ।
এনিয়ে গতকাল বুধবার ডিএসইর পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, কোম্পানি ২টির ৩ বছরের অধিক সময় ধরে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। ডিএসই থেকে বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও কোনো ইতিবাচক ফল আসেনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তাদের উৎপাদনে আসারও কোনো সম্ভাবনা নেই। এই ২ কোম্পানি নিয়ে বাজারে বারবার কারসাজি করছে বিভিন্ন চক্র। তাতে সাধারণ বিনিয়োগকারী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। কারসাজি বন্ধ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বাঁচাতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ।