প্রতি বিটেই হাজারো গুণ

প্রকাশ: ২০১৫-১১-০১ ১৫:২৮:৩৭


bitশীতের সবজির বাজারে আসতে শুরু করেছে। পটল, ঢ়েঁড়শ ও ফুলকপি। আসার অপেক্ষায় আছে বিটও। মাটির নিচে বেড়ে সবজিটির রং যেমন মনোমুগ্ধকর গাঢ় গোলাপি হয়, তেমনি রয়েছে এর হাজারো গুণ।

সবজিতে এক টুকরা বিট দিলে পুরো রান্নার রং পরিবর্তন হয়ে যায়। বিটানিন নামক পিগমেন্টের উপস্থিতির কারণেই এমনটি করতে পারে বিট। তাই একে বলা হয় প্রাকৃতিক ফুড কালার। এ তো গেল রংয়ের কথা। বিটের মধ্যে রয়েছে অনেক স্বাস্থ্যগুণ ও হাজারো উপকারিতা।

যেমন- এর মধ্যে শর্করার উপস্থিতি অনেক। ফলে এর নির্যাস থেকে বানানো যায় চিনি। এছাড়া রক্ত থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে সক্ষম বিট। সাহায্য করে লিভার ঠিক রাখতেও। নিয়মিত বিটের রস খেলে বাড়বে রক্তের লৌহ কণিকা। বাড়ানো যায় শক্তি ও অক্সিজেনের চলাচল। এ জন্য অ্যাথলেটদের বিট খেতে বলা হয়।

শর্করা বেশি থাকলেও বিটে তেমন ফ্যাট বা চর্বি নেই। ফলে এটি শরীরে ক্যালরি না বাড়িয়ে যোগান দেয় পুষ্টি। পাশাপাশি বিটে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, যা ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এতে স্টোকের ঝুঁকি কমে ও হৃদযন্ত্র ভাল থাকে।

এছাড়াও বিটের নির্যাসে আছে প্রচুর পরিমাণে নাইট্রেট। এটি নাইট্রিক অক্সাইড তৈরি করে। ফলে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হয়ে ব্লাডপ্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে।

বিটের গুণ এখানেই শেষ নয়। এর মধ্যে শর্করার পাশপাশি রয়েছে লৌহ, পটেসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের মতো খনিজ পদার্থ। তাছাড়া ফাইবার ও বিটামিন সি পাওয়া যায় বিটে। চুল ও নখের জন্য বিশেষ উপকারী বিটের রস। শীতে আপনার চুল ও নখের জন্য তো বটেই, গোটা শরীরের জন্য বেশি করে খেতে পারেন বিট। সূত্র : এপিবি।

সানবিডি/ঢাকা/এসএস