মানুষের অন্তর থেকে ঈমান ও আমানতদারী উঠে যাবে

ডেস্ক আপডেট: ২০১৮-০৮-১২ ০৯:০০:২৯


হুযাইফা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) আমাদেরকে দুটি হাদীস শুনিয়েছেন, যার একটির বাস্তবায়ন আমি নিজে দেখেছি এবং অপরটির জন্য অপেক্ষা করছি। রাসূলুল্লাহ আমাদের কাছে বর্ণনা করেছেন, যে আমানতাদারী মানুষের অন্তরের গভীর কন্দরে নিহিত, এরপর তারা পবিত্র কুরআন থেকে জেনেছে এবং তারপর তারা রাসূলের (সা) সুন্নাত থেকেও অবগত হয়েছে। মানুষের মন থেকে কিভাবে আমানতদারী উঠে যাবে, তার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেছেন, মানুষ ঘুমাবে এবং ঘুমন্ত অবস্থায় তার অন্তর থেকে আমানতদারী উঠিয়ে নেয়া হবে। এমতাবস্থায় তার অন্তরে আমানতদারীর সামান্য একটি দাগ অবশিষ্ট থাকবে। এরপর মানুষ আবার নিদ্রা যাবে এবং নিদ্রিতাবস্থায়ই তার অন্তর থেকে আমানতদারীর দাগটুকুও উঠিয়ে নেয়া হবে। অতঃপর জ্বলন্ত অংগারে পায়ে ফোসকা পড়ার চিহ্নের ন্যায় একটি চিহ্ন অন্তরে অবশিষ্ট থাকবে। আসলে সেখানে আর কিছুই থাকবে না। অবস্থা এমন হবে যে, লোকের কেনা-বেচা করবে; কিন্তু তাদের কেউ আমানত রক্ষা করবে না। এ লোকেরা পরস্পর বলাবলি করবে যে, অমুক বংশে একজন আমানতদার লোক রয়েছে এবং সেই ব্যক্তি সম্পর্কে বলা হবে যে, সে কতই-না বুদ্ধিমান এবং কতই-না সাহসী এবং কতই-না দূরদর্শী। অথচ তার অন্তরে সামান্য পরিমাণ ঈমানও থাকবে না। বর্ণনাকারী বলেন, আমাদের মাঝে এমন সময়ও অতিবাহিত হয়েছে যে, আমরা তোমাদের মধ্যকার যে কোন লোকের সাথে বেচা-কেনা করতে একটুও দ্বিধাবোধ করতাম না। যদি সে ব্যক্তি মুসলমান হতো, তবে তার ইসলামই তাকে (প্রতারণা করা থেকে) হেফাযত করতো। আর যদি সে খ্রিস্টান হতো, তবে তার অভিভাবকই তাকে প্রতারণা করা থেকে তাকে রক্ষা করতো। কিন্তু বর্তমানে অবস্থা এমন খারাপ হয়েছে যে, আমি অমুক অমুক ব্যক্তি ছাড়া অন্য কারো সাথে লেনদেন করি না। (বুখারী-কিতাবুর রিকাক)
আল কোরআন

# যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর মিথ্যা আরোপ করে অথবা তাঁর নিদর্শনসমূহকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে; সে অপেক্ষা বড় জালেম আর কে হতে পারে? তাদের আমলনামায় লিখিত নির্ধারিত অংশ তাদের নিকট পৌঁছবেই, পরিশেষে যখন আমার প্রেরিত ফেরেশতাগণ তাদের প্রাণ হরণের জন্য তাদের নিকট পৌঁছবে, তখন ফেরেশতারা জিজ্ঞেস করবেÑ ‘আল্লাহকে বাদ দিয়ে যাদেরকে তোমরা ডাকতে তারা কোথায়?’ তখন তারা (উত্তরে) বলবে, ‘আমাদের হতে তারা উধাও হয়ে গেছে’, আর তারা নিজেরাই নিজেদের ব্যাপারে সাক্ষ্য দিবে যে, তারা কাফের ছিল।
আল কুরআন