ভারতের পুঁজিবাজার থেকে লাখ কোটি রুপি গায়েব

নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০১৮-০৯-১৮ ১০:৩৭:১৯


ভারতের পুঁজিবাজারে বেশ বড় ধরনের পতন ঘটেছে। গতকাল পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরুর পর সূচক ৫০০ পয়েন্টেরও বেশি কমে যায়। ফলে এক দিনেই এক লাখ কোটি রুপি হারিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। রুপির মূল্যমানে পতনের সঙ্গে পেট্রল-ডিজেলের দ্রুতগতিতে মূল্যবৃদ্ধির কারণে পুঁজিবাজারে এ ধস নেমেছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। ফলে বেশ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। পুঁজিবাজারের পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে, তা নিয়েও শঙ্কার মধ্যে রয়েছেন অনেকে। খবর আনন্দ বাজার।
খবরে বলা হয়েছে, পুঁজিবাজার মাঝে মধ্যে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী হলেও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হচ্ছে না। ফলে গতকাল পুঁজিবাজারে লেনদেনের পর থেকে সেনসেক্স ৫০৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ৩৭ হাজার ৫৮৫-এ। এছাড়া নিফটি ১৩৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ১১ হাজার ৩৭৭-এ। এই ধসের ফলে বিনিয়োগকারীদের এক লাখ কোটি রুপি বাজার থেকে গায়েব হয়ে গেল।
ভারতের বাজারে গত কয়েক দিন ধরেই রুপির দামে পতন অব্যাহত রয়েছে। গতকাল সোমবার বাজারে রুপির দাম ৮১ পয়সা কমে গিয়ে এক ডলারের বিপরীতে দাঁড়ায় ৭২ দশমিক ৬৫ রুপিতে। এর আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর রেকর্ড পতন হয়েছিল রুপির। সেদিন রুপির দাম কমে দাঁড়ায় ৭২ দশমিক ৬৭-এ। তারপর থেকে এখনও রুপির দাম নিয়ে অচলাবস্থা কাটেনি। আর এ পরিস্থিতি ভারতের অর্থনীতি ও বাণিজ্যক্ষেত্রে উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
এদিকে শিগগিরই রুপির দাম বৃদ্ধির আপাতত কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। তবে এর আগে এ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বেশ কয়েকটি পদক্ষেপে সুফল মিলতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করেছিলেন। তবে পরে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বিশ্ব বাণিজ্যে চীন-আমেরিকার দ্বন্দ্ব পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে।
পেট্রল-ডিজেলের ঊর্ধ্বমুখী দাম নিয়েন্ত্রণে রাখতে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে ভারত সরকার। এছাড়া রুপির পতন রুখতেও বিভিন্ন কৌশল নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তাতে তেমন সুফল পাচ্ছে না সাধারণ জনগণ। এতে জনগণের ভোগান্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারকেও বেশ বেকায়দায় ফেলে দিয়েছে।