ব্যবসা সহজীকরণ সূচকে এগিয়েছে বাংলাদেশ
সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০১৮-১১-০১ ০৬:২৬:১১
ব্যবসা সহজীকরণ সূচকে এক ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বের ১৯০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ১৭৬। গতবছর ছিলো ১৭৬ স্থানে। সেই বছর অবশ্য দেশটি এক ধাপ পিছিয়েছিল। ওই হিসেবে বাংলাদেশ কিছুটা উন্নতি করে এক বছর আগের অবস্থান পুনরুদ্ধার করতে পেরেছে।
বিশ্বব্যাংকের তৈরি করা ডুয়িং বিজনেস রিপোর্ট থেকে এ তথ্য জানা গেছে। মঙ্গলবার বিশ্বব্যাংকের ওয়েবসাইটে ডুয়িং বিজনেস ২০১৮ রিপোর্টটি প্রকাশ করা হয়।
ডুয়িং বিজনেস রিপোর্টে উন্নতি হলেও বাংলাদেশ এখনো কাঙ্খিত অগ্রগতির চেয়ে অনেক পিছিয়ে। অনেক ছোট ও দুর্বল অর্থনীতির দেশও বাংলাদেশের চেয়ে বেশি এগিয়েছে এই সূচকে।
প্রতিবেশি ভারত এবার ব্যবসা সহজীকরণ সূচকে ২৩ ধাপ এগিয়েছে। দেশটির অবস্থান এখন ৭৭ নাম্বারে। গত দুই বছরে ভারত আলোচিত সূচকে ৫৩ ধাপ এগিয়েছে। আর গত চার বছরে এগিয়েছে ৬৫ ধাপ।
এ বছর সার্কের আরেক প্রভাবশালী দেশ পাকিস্তান ব্যবসা সহজীকরণ সূচকে ১১ ধাপ এগিয়েছে। দেশটির বর্তমান অবস্থান দাঁড়িয়েছে ১৩৬। এক বছর আগে এই অবস্থান ছিল ১৪৭।
একই সংখ্যক ধাপ এগিয়ে শ্রীলংকা ১১১তম অবস্থান থেকে ১০০তম অবস্থানে চলে এসেছে।
এমনকি গৃহযুদ্ধ বিধ্বস্ত আফগানিস্তানও এবার ১৬ ধাপ এগিয়েছে ব্যবসা সহজীকরণ সূচকে।
চলতি অর্থবছরের বাজেট ঘোষণাকালে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত ব্যবসাসহজীকরণ সূচকে বড় অগ্রগতির উচ্চাশার কথা ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, তার সরকার আগামী ৫ বছরের মধ্যে ওই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ট্রিপল ডিজিট থেকে ডাবল ডিজিটে তথা ১০০ এর নিচে নিয়ে আসার লক্ষ্যে কাজ করছে। এ লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশকে ৫ বছরে কমপক্ষে ৭৭ ধাপ এগুতে হবে, বছরে ১৬ ধাপ। অথচ এর বিপরীতে বাংলাদেশ মাত্র একধাপ এগিয়েছে।
বিশ্ব ব্যবসা সহজীকরণ সূচকে বাংলাদেশ এখন সার্কের সকল সদস্য, এমন কি সাব-সাহারার স্বল্পোন্নত অনেক দেশের চেয়েও পিছিয়ে আছে।
ব্যবসা সহজীকরণ সূচকের র্যাঙ্কিং এর জন্য বিবেচ্য ১০টি সূচকের বেশিরভাগে বাংলাদেশ এ বছর পিছিয়েছে। ব্যবসা শুরু করার সূচকে দেশটির অবস্থান এক বছরের ব্যবধানে ১৩১ নাম্বার থেকে ১৩৮তম অবস্থানে নেমেছে। অবকাঠামো নির্মাণের অনুমতি সংক্রান্ত সূচকে অবস্থান হয়েছে ১৩৮তম অবস্থান থেকে ১৩০ এ। ঋণ সুবিধা পাওয়ার সূচকে অবস্থান নেমেছে ১৬৯ থেকে ১৬১ তে। সংখ্যালঘু শেয়ারহোল্ডারের স্বার্থ সংরক্ষণ সূচকে অবস্থান ৭৬ থেকে ৮৯ এ নেমেছে। তবে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রাপ্তি, সম্পদ নিবন্ধন ও কর পরিশোধ প্রক্রিয়ার সূচকে সামান্য উন্নতি হয়েছে।