ভারতের খাদ্য সচিবের সাথে-বাণিজ্যমন্ত্রীর বৈঠক

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০১৮-১১-০১ ১৮:৫৫:৪২


বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ভারত বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র। ভারতের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য ব্যবধান বেশি। তবে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের অনেক কাাঁচামাল ও চাউলসহ রপ্তানির আনুসঙ্গীক জিনিস ভারত থেকে আমদানি করে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হয়। সে কারণে ভারত থেকে বেশি আমদানি বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর নয়।
বৃহস্পতিবার বাণিজ্যমন্ত্রী বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ঢাকায় সফররত ভারতের ফুড অ্যান্ড পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন সচিব রেভিকান্তার সাথে মতবিনিময় করে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এ সময় ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত শ্রী হর্ষ বর্ধণ সিংলা উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ব্যবধান কমিয়ে আনতে তামাক ও এ্যালকহোল ছাড়া বাংলাদেশের সকল পণ্য রপ্তানিতে বাণিজ্য সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশ প্রয়োজনে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে চিনি আমদানি করে থাকে। পরিশোধিত করে দেশের চাহিদা পূরণ করে আবার বিভিন্ন দেশে রপ্তানিও করে থাকে। সাপটার আওতায় ভারত থেকে চিনি আমদানীর ক্ষেত্রে কিছু জটিলতা আছে। দেশের চিনি শিল্পকে প্রটেকশন দেয়ার জন্য পণ্যটি বাংলাদেশের নেগেটিভ লিস্টে রয়েছে। সে কারনে প্রায় ৪০ শতাংশ শুল্ক দিয়ে ভারত থেকে চিনি আমদানি করতে হয়। এ জটিলতা দূর করতে ভারত বাংলাদেশের সাথে এমওইউ স্বাক্ষর করতে আগ্রহী। এমওইউ স্বাক্ষর করতে উভয় দেশ একমত হয়েছে।
তোফায়েল আহ,েদ বলেন, বাংলাদেশের টিসিবি এবং ভারতের এসটিসি-এর মধ্যে আজ ২ নভেম্বর এমওইউ স্বাক্ষর হবে। এরপর সে জটিলতা আর থাকবে না।
তিনি বলেন,বলেন, বাংলাদেশ ভারতে পাটপণ্য রপ্তানিতে আরোপিত এন্টিডামপিং প্রত্যাহার এবং ভোজ্য তেল রপ্তানিতে জটিলতা দুর করার আহবান জানানো হয়েছে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে আরো ৪টি বর্ডারহাট চালুর করতে একমত হয়েছে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরী পোশাক তৈরীর কাজে ব্যবহ্যত তুলা ও চালসহ রপ্তানি কাজে ব্যবহ্যত অন্যান্য পণ্য আমদানি করে থাকে। গত অর্থবছর বাংলাদেশ ৮৭৩.২৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য ভারতে রপ্তানি করেছে, একই সময়ে আমদানি করেছে ৮৬১৯.৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। উভয়দেশ চলমান বাণিজ্য আরো বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। এ জন্য বাণিজ্য সুবিধা বৃদ্ধি করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ভোজ্যতেল রপ্তানি কারক প্রতিষ্ঠানগুলো  বাণিজ মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে ভারতে চাহিদা মোতাবেক ভোজ্য তেল রপ্তানি করছে।
এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শুভাশীষ বসু, ভারতের প্রতিনিধি দলে ফুড এন্ড পাবলিক ডিসট্রিবিউশনের পরিচালক এবং বাণিজ্য বিভাগের কৃষিপণ্য রপ্তানির পরিচালক এসময় উপস্থিত ছিলেন।