দ্বিতীয় দফা সংলাপে ঐক্যফ্রন্টের প্রতিনিধি দলে ১১ জন

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০১৮-১১-০৭ ০৭:১৬:১০


আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের সঙ্গে দ্বিতীয় দফা সংলাপে অংশ নিতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে যাবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল।

বুধবার (৭ নভেম্বর) সকাল ১১টায় এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে, গত ১ নভেম্বর গণভবনে প্রথম দফায় আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের সঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। ওই সংলাপে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্টের ২১ জনের অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও ২০ জন অংশ নিয়েছিলেন।

দ্বিতীয় দফা সংলাপেও ঐক্যফ্রন্টের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে থাকছেন ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। তার সঙ্গে এই প্রতিনিধি দলে আরও থাকছেন বিএনপি মহাসচিব ও ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর; বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ; জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন; গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টু ও নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী; নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না ও এস এম আকরাম এবং জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতা সুলতান মোহাম্মদ মুনসুর আহমেদ।

গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টুর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই ১১ জনের নামের তালিকা জানানো হয়েছে।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন ১১ জনের তালিকার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘মোস্তফা মহসীন মন্টুর সই করা তালিকাই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের তালিকা। এই তালিকায় থাকা নেতারা বুধবার গণভবনে যাবেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপে অংশ নিতে।’

এর আগে ১ নভেম্বরের সংলাপে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে তাদের সাত দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। সংলাপ শেষে গণভবন থেকে বেরিয়ে উভয় পক্ষের নেতাদের বড় একটি অংশই গণমাধ্যমে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানান। তাতে একদিকে আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলীয় জোট এই সংলাপকে ‘খোলামেলা’ ও ‘ফলপ্রসূ’ বলে অভিহিত করলেও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা এই সংলাপে ‘আশাপ্রদ’ কিছু দেখছেন না বলেই জানান।

সংলাপ শেষে আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের নেতারা জানান, সভা-সমাবেশসহ সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে কোনো ধরনের বাধা দেওয়া হবে না। পাশাপাশি বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতার এবং তাদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলার বিষয়েও তালিকা চাওয়া হয়েছে সরকারের কাছে। বিষয়গুলো বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এর বাইরে নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকের উপস্থিতিতে কোনো ধরনের আপত্তি নেই বলেও জানানো হয়েছে ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে।

এর বাইরে খালেদা জিয়ার মুক্তি, সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন, নির্বাচনকালীন সরকার গঠন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন, নির্বাচনে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে সেনামোতায়েনের মতো দাবিগুলো নিয়ে ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে ইতিবাচক আশ্বাস পায়নি ঐক্যফ্রন্ট। ওই রাতেই ড. কামাল আনুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে জানান, প্রধানমন্ত্রী সংলাপে লম্বা বক্তৃতা দিলেও তা থেকে খুব বেশি কিছু পায়নি ঐক্যফ্রন্ট। পাশাপাশি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও জানান, সংলাপ নিয়ে তিনি সন্তুষ্ট নন।