বাড়ির ছাদেও থার্টি ফাস্টের অনুষ্ঠান নয় : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০১৮-১১-১৮ ১৫:০৯:৩০


এবার বাড়ির ছাদেও ইংরেজি নববর্ষ বছর উপলক্ষে থার্টি ফাস্ট নাইটের অনুষ্ঠান করা যাবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। একই সঙ্গে থার্টি ফাস্ট নাইটে কোনো হোটেলে ডিজে পার্টির আয়োজন করা যাবে না। পাঁচ তারকা হোটেল ছাড়া সব জায়গায় বার বন্ধ থাকবে বলেও জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
রোববার সচিবালয়ে আসন্ন বড়দিন উদযাপন এবং থার্টি ফার্স্ট নাইটে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আয়োজিত সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সভায় আমরা তুলে ধরেছি এবারের প্রেক্ষাপটটা ঠিক অন্যরকম। আমাদের জাতীয় নির্বাচন আগামী ৩০ ডিসেম্বর হতে যাচ্ছে। সেজন্য আমাদের বিশেষভাবে কিছু প্রি-কশান (পূর্ব সতর্কতা) ও বিশেষ নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে আমরা আজকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘থার্টি ফাস্ট নাইট, আমরা প্রথমত নিরুৎসাহিত করব সেইদিন না করার জন্য। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত থাকবে। কাজেই আমরা নিরুৎসাহিত করছি। কোনো ধরনের জায়গায় যেন থার্টি ফাস্ট নাইটের অনুষ্ঠান না হয়, বিশেষ করে উন্মুক্ত স্থানে এইসব অনুষ্ঠান করা যাবে না। বাসার ছাদেও করা যাবে না এই অনুষ্ঠান।’
মন্ত্রী বলেন, ‘৩১ ডিসেম্বর বিকেল থেকে পরেরদিন ১ জানুয়ারি সন্ধ্যা পর্যন্ত ফাইভ-স্টার ও আন্তর্জাতিক হোটেলগুলো ছাড়াও সব বার বন্ধ থাকবে। থার্টিফাস্ট নাইটে কোনো বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র বহন করা যাবে না। ওই রাতে আতশবাজি, পটকা, বেলুন, ফানুশ ওড়ানো যাবে না।’
৩১ ডিসেম্বর দিন ও রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকার ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশ করা যাবে না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘থার্টি ফাস্ট নাইটে কোনো হোটেলে গ্যাদারিং সৃষ্টি করে ডিজে পার্টি করা যাবে না। কোনো হোটেলে কোনো ডিজে পার্টি করা যাবে না। হোটেলগুলো তাদের পার্কিংয়ের বাইরে অন্য কোনো স্থানে অবৈধভাবে গাড়ি পার্ক করতে পারবে না। এটাও আমরা নিয়ন্ত্রণ করব।’
থার্টিফাস্ট নাইটে পর্যটন এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
২৫ ডিসেম্বর বড়দিনে সব চার্চে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়ে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘সারাদেশে প্রায় সাড়ে ৩ হাজারের মতো চার্চ রয়েছে। তাই বড়দিনেও কোনো ধরনের আতশবাজি ও পটকা ফোটানো যাবে না।
বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, সুরক্ষাসেবা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী, র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের নেতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।