এমএসসিআই ফ্রন্টিয়ার মার্কেটস সূচকে ইউনাইটেড পাওয়ার
নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০১৮-১১-১৯ ১৪:৫৪:২৩
বিভিন্ন সংকলিত শেয়ার সূচকের অর্ধবার্ষিক পুনর্গণনার ফল প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এমএসসিআই। তাদের ফ্রন্টিয়ার মার্কেটস সূচকে এ দফায় ছয়টি কোম্পানি প্রতিস্থাপিত হয়েছে। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড (ইউপিজিডিসিএল) এমএসসিআই ফ্রন্টিয়ার মার্কেটস ইনডেক্সে জায়গা করে নিয়েছে।
গেল সপ্তাহে এমএসসিআইয়ের অর্ধবার্ষিক সূচক পুনর্গণনা প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ব্যবহারকারীদের কাছে সংকলিত সূচকের কার্যকারিতা ও আবেদন ধরে রাখতে পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে নিয়মিত সূচকভুক্ত কোম্পানিগুলোর পারফরম্যান্স পর্যালোচনা করে তারা। এবার ছয়টি প্রতিষ্ঠান সূচক থেকে ছিটকে পড়েছে এবং তাদের প্রতিস্থাপন করেছে বিশ্বের ফ্রন্টিয়ার মার্কেটগুলোয় তালিকাভুক্ত অন্য ছয় কোম্পানি।
কোম্পানির বাজার মূলধন হিসাব করলে নভেম্বরে এমএসসিআই ফ্রন্টিয়ার মার্কেটস সূচকে সবচেয়ে বড় সংযোজন লেবাননের অদি সারাদার গ্রুপ। এর পরই রয়েছে সাড়ে ১৫ হাজার কোটি টাকা বাজার মূলধনের বাংলাদেশী কোম্পানি ইউপিজিডিসিএল। সূচকটিতে যুক্ত হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে বাজার মূলধনে তিন নম্বরে রয়েছে কুয়েতের ববিয়ান পেট্রোকেমিক্যালস।
এমএসসিআইয়ের ফ্রন্টিয়ার মার্কেটস স্মল ক্যাপ ইনডেক্স থেকে এবার ছিটকে পড়েছে ২১টি কোম্পানি এবং নতুন করে জায়গা পেয়েছে মাত্র ১২টি কোম্পানি।
জানা গেছে, এমএসসিআই বৈশ্বিক, আঞ্চলিক ও শ্রেণীভিত্তিক কয়েক ডজন শেয়ার সূচক সংকলন ও প্রকাশ করে থাকে। শেয়ারের বাইরে অন্যান্য বিনিয়োগযোগ্য সম্পদশ্রেণীরও সূচক সংকলন করে তারা। গত চার দশকে তাদের সূচকগুলো বিনিয়োগকারীদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা পেয়েছে। আন্তর্জাতিক পরিসরে শীর্ষ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের প্রায় সবাই এ সূচকগুলো অনুসরণ করে। সূচকভুক্ত কোম্পানিগুলোর জন্যও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা তুলনামূলক সহজ হয়।
এদিকে চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর) ইউনাইটেড পাওয়ারের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৭১ পয়সা, যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ২ টাকা ২৩ পয়সা। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা গেছে, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৫৮ টাকা ২ পয়সা।
৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য ৯০ শতাংশ নগদ ও ২০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। বার্ষিক ইপিএস হয়েছে ১১ টাকা ৫১ পয়সা, ৩০ জুন কোম্পানির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ৪০ টাকা ৮০ পয়সা।
২০১৭ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য ১০ শতাংশ স্টক ও ৯০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল ইউনাইটেড পাওয়ার। ২০১৬ সালের ৩০ জুন ১৮ মাসে সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য ১২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি। ২০১৪ হিসাব বছরে ৩০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ পান কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।
ডিএসইতে গতকাল ইউনাইটেড পাওয়ার শেয়ারের সর্বশেষ দর শূন্য দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ বা ১ পয়সা কমে দাঁড়ায় ৩২৩ টাকা ৬০ পয়সায়। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন দর ছিল ১৪৯ টাকা ৭০ পয়সা ও সর্বোচ্চ ৩৭৫ টাকা।
২০১৫ সালে শেয়ারবাজারে আসা দেশের একমাত্র কমার্শিয়াল আইপিপি কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৮০০ কোটি টাকা ও পরিশোধিত মূলধন ৪৭৯ কোটি ৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা। রিজার্ভ ৯৪৫ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। মোট শেয়ারের ৯০ শতাংশই কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে, প্রতিষ্ঠান ৫ দশমিক ৮১, বিদেশী শূন্য দশমিক ১২ ও বাকি মাত্র ৪ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।