এবার বিদ্রোহী মানেই আজীবন বহিষ্কার

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০১৮-১১-২৭ ১১:৩৭:৩৫


নির্বাচনে কেউ বিদ্রোহী প্রার্থী হলে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এবার আমরা জরিপের ওপর ভিত্তি করে মনোনয়ন দিয়েছি। তাই এবার বিদ্রোহী মানেই আজীবন বহিষ্কার। গতকাল ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। অতীতে বহিষ্কারের পর আবারও অনেককে দলে ফিরিয়ে আনা হয়েছে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, অতীতের কথা বাদ।

এবার আর সে সুযোগ থাকবে না। চিরস্থায়ীভাবে বহিষ্কার। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পরিবর্তন চাওয়া প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, হেরে যাবার ভয়ে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে।

নির্বাচনের বাকি আছে আর মাত্র এক মাস। এসময় যারা নির্বাচনের আগে ইলেকশন কমিশনের পরিবর্তন চান তারা নির্বাচনে অংশ নেবে- এটা আমার বিশ্বাস হয় না। আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী আবু সাইয়িদসহ অন্য নেতাদের গণফোরামে যোগ দেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ড. কামাল হোসেনই যেখানে আওয়ামী লীগ থেকে চলে গেছেন, কাদের সিদ্দিকী আওয়ামী লীগে নেই, সুলতান মনসুর নেই, মান্না নেই। তাদের তুলনায় এরা কি গুরুত্বপূর্ণ লোক? সেখানে আবু সাইয়িদ তো কিছুই না। এসব নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা নেই।

এসব ঘটনায় বাংলাদেশের জনগণের কাছে আমাদের জনপ্রিয়তা বেড়েছে বৈ কমেনি। দিনে দিনে আমাদের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। এটাই আমাদের বড় অ্যাসেট। জোট ও মহাজোটের সঙ্গে আসন ভাগাভাগির নামে বানরের পিঠা ভাগ করা হয়নি বলেও দাবি করেন তিনি। শরিকদের সঙ্গে বোঝাপড়ার মাধ্যমে ৬৫-৭০ আসন ছেড়ে দেয়া হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা কৌশলে মার খেতে চাই না, কৌশলে এগিয়ে যেতে হবে। এতে আমরা কারো থেকে পিছিয়ে থাকতে চাই না। ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা দলীয়ভাবে কিছু প্রার্থীর তালিকা করে মনোনয়নের চিঠি দিয়েছি। এটা কিন্তু প্রেসের জন্য করিনি। মিডিয়া এমন অনেক প্রার্থীর নাম প্রকাশ করেছে, যাদের আমরা চিঠি দেইনি বা যাদের নাম তালিকায় নেই। এটা আমাদের জন্য একটা বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।

আপনারা যদি বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে দেন তাহলে আপনাদের জন্যও লজ্জাকর। যে প্রার্থী মনোনয়ন পায়নি তার নামও টেলিভিশনের স্ক্রলে দেয়া হয়েছে। আপনারাই বলেন, আপনাদের কারো নাম  নেই কিন্তু স্ক্রলে যদি দেন তাহলে কেমন দেখায়? নৌকার প্রার্থীদের মনোনয়নের চিঠি দেয়ার পর কোন কোন এলাকায় সংঘর্ষ বা মারামারির ঘটনা ঘটেছে- এ বিষয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ একটি বিশাল পরিবার। অনেকের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন থাকতে পারে এমপি হওয়ার। এটা খুব স্বাভাবিক, একটি পরিবারের মধ্যেও অনেক সময় ক্ষোভ-অভিমান থাকে। যেটা খুব ব্যাপক আকারে বাংলাদেশে হয়, এবার সেটা হবে না বলে আশা করছি। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি, ১৪ দল, যুক্তফ্রন্ট সব মিলিয়ে ইলেকট্রিভল ইলিজিবল প্রার্থী দেয়া হবে। জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য জনপ্রিয় নির্বাচনে বিজয় অর্জন করবে- এমন প্রার্থীই মনোনয়ন পাবে। তিনি বলেন, উইনেবল যারা প্রার্থিতার জন্য আবেদন করেছেন, তারাই মনোনয়ন পাবেন। আমরা জেতার জন্য নির্বাচন করছি।