ক্রেতাদের সাধ্যের মধ্যে শীতকালীন শাক সবজি

নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০১৮-১২-০১ ১০:৪১:৫১


বর্তমানে শীতে বাজারে সবজির সরবরাহও প্রচুর। বেশির ভাগ সবজির দাম কমেছে। আর অপরিবর্তিত রয়েছে কিছু কিছু সবজির দাম। রাজধানীর বাজারে শীতকালীন শাক সবজি পর্যাপ্ত পরিমাণ মজুদ থাকায় দাম ক্রেতাদের সাধ্যের মধ্যে রয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।

জিগাতলা কাচাবাজারে সবজি কিনতে আসা এক ক্রেতা জানান, শীতের প্রথম দিকে সবজির দাম অনেক বেশি ছিল। কিন্তু এখন এসব হাতের নাগালে চলে আসছে। গত সপ্তাহে পালং শাকের আটি ছিল ২০ টাকা, আজ সেটা ১০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

বাজারে টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, বরবটি, পালং শাক, ও গাজরসহ শীতকালীন প্রচুর সবজি। মূলা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৫ টাকায়, শিম ১৫ থেকে ২০ টাকা, বাঁধাকপি পিস ১০ থেকে ১৫ টাকা, ফুলকপি ১০ টাকা, কাচা টমেটো ৩০, পাকা টমেটো ৪০/৪৫ টাকা, গাজর ২৫ থেকে ৩০ টাকা, বরবটি ২০ টাকা, লাল, কলমিলতা ১০ আটি।

সাইজ অনুসারে প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা দরে। আবার এসব বাজারে প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়, ঢেঁড়স ২০ থেকে ২৫ টাকা, বেগুন ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, কচুর লতি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, কাকরোল ২৫ থেকে ৩০ টাকা, কুমড়া প্রতি পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হয়। যা গত সপ্তাহের তুলনায় অনেক কম। এছাড়া প্রতি কেজি আমদানি করা পেঁয়াজে ৫ টাকা করে কমেছে যা এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। আদা, গাজরের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

বাজারদর সম্পর্কে মিরপুর ১০ নম্বর এলাকায় বাজার করতে আসা রেজা বলেন, দাম একই আছে। গত সপ্তাহে যে দামে নিয়েছি এ সপ্তাহে দামাদামি করে আরও দু-তিন টাকা কমে পেয়েছি সবজি। তবে ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানোর চেষ্টায় আছে বলে মনে হলো। কারণ, আমাকে যে দাম বলছে আমার পাশেই দাঁড়ানো আরেকজকে ৫ টাকা বাড়িয়ে বলছে। এটা দাম বাড়ার একটা লক্ষণ।

দাম কমেছে বাজারে আসা নতুন আলুর। কেজি প্রতি ৫০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। যা গত সপ্তাহে ৬০, এর আগের সপ্তাহে ৮০ থেকে ৯০ এবং শুরুতে ১২০ টাকা কেজিতে পর্যন্ত বিক্রি হতে দেখা গেছে।

তাছাড়া প্রতিকেজি আদা ১৪০ টাকায়, রসুন ভারতীয় প্রতিকেজি ৫০ টাকায় ও দেশি রসুন ৮০ টাকা, পেঁয়াজ (দেশি) ৪০ টাকা, ভারতীয় ৩০ টাকা এবং পুরানো আলু ৩০ টাকা কেজি দরে পাওয়া।