সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না: আপিল বিভাগ
নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০১৮-১২-০২ ১৩:৪৩:২০
সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। বিচারিক আদালতের দেয়া সাজা কিংবা দণ্ড স্থগিত হলে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন হাইকোর্টের এমন আদেশকে স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। ফলে ফলে দুর্নীতির দায়ে অন্যূন দুই বছর সাজা হলে নির্বাচনের সুযোগ থাকছে না দণ্ডিত ব্যক্তির।
রবিবার (২ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। অপরপক্ষে শুনানি করেন এ জে মোহাম্মদ আলী। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম।
এর আগে গতকাল শনিবার বিশেষ ব্যবস্থায় চেম্বার আদালতের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে বিষয়টি শুনানির জন্য পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন।
আপিল বিভাগের এ আদেশের ফলে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ দণ্ডিত ব্যক্তিরা দণ্ড মাথায় নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ থাকল না বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা।
বৃহস্পতিবার (২৯ নভেম্বর) হাইকোর্টের একটি একক বেঞ্চ সাবিরা সুলতানার দণ্ড ও সাজা স্থগিতের আবেদন মঞ্জুর করেন। পরে নিম্ন আদালতের দেয়া রায় আপিলে নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সাবিয়ার দণ্ড ও সাজা স্থগিত করা হয়।
সাবিরা সুলতানাকে বিচারিক আদালতের দেয়া সাজা ও দণ্ড স্থগিত করে বিচারপতি মোহাম্মদ রইস উদ্দিনের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশ দেন।
সাবিরা সুলতানার মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০০৯ সালের ২৪ মে সাবিরা সুলতানা তার ৫৫ লাখ ৭৮ হাজার ১৩৫ টাকা সম্পদের হিসাব জমা দেন দুদকে। পরবর্তী সময়ে দুককের অনুসন্ধানে দেখা যায় ৪৫ লাখ টাকার সম্পদের বিষয়ে ভিত্তিহীন ও মিথ্যা তথ্য দেয়াসহ ১ কোটি ৭৮ হাজার ১৩৫ টাকার সম্পত্তি অসাধু উপায়ে অর্জন করেছেন সাবিরা সুলতানা। যা তার বৈধ আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ।
ওই ঘটনায় গত ২০১০ সালের ২০ জুলাই সৈয়দ আহমেদ (দুদকের সহকারী পরিচালক) বাদী হয়ে ধানমণ্ডি থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় যশোরের একটি আদালত গত ১২ জুলাই সাবিরা সুলতানাকে দুটি ধারায় তিন বছর করে কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেন।
এ রায়ের পর ১৭ জুলাই বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করেন সাবিরা সুলতানা। এরপর তিনি ওই সাজার বিরুদ্ধে কারাগার থেকেই হাইকোর্টে আপিল আবেদন করেন।