যমুনা অয়েলের স্থায়ী সম্পদের সত্যতা প্রমাণ করতে পারেনি 

পুঁজিবাজার ডেস্ক প্রকাশ: ২০১৮-১২-০৪ ১১:২০:৩২


যমুনা অয়েলের ১৬২ কোটি ৯১ লাখ টাকার স্থায়ী সম্পদ আছে বলে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ দাবি করলেও তার সত্যতা বা প্রমাণ পায়নি নিরীক্ষক। যা নিয়ে কোম্পানিটির নিরীক্ষক আপত্তিকর মন্তব্য (কোয়ালিফাইড অপিনিয়ন) করেছেন।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

যমুনা অয়েলের আর্থিক হিসাবে কোম্পানিটির ৫৯.১৪৪ একর জমি রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু এরমধ্যে ২.৩০ একর জমি এখনো কোম্পানির নামে রেজিস্টার করা হয়নি। আর ২.২২ একর জমি ও ৩টি ফিলিং স্টেশন চিটাগাং ড্রাই ডকের অধীনে রয়েছে। যা নিয়ে যমুনা অয়েলের সঙ্গে চিটাগাং ড্রাই ডকের কোনো চুক্তি নেই। এলক্ষ্যে যমুনা অয়েল চুক্তি করতে বা জমি ফেরত চেয়ে চিটাগাং ড্রাই ডক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কোন ফল পায়নি। যাতে যমুনা অয়েল আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বলে নিরীক্ষক জানিয়েছেন।

চিটাগাং ডেভোলপমেন্ট কর্তৃপক্ষ এয়ারপোর্ট রাস্তা নির্মাণের জন্য কোনো টাকা না দিয়েই যমুনা অয়েলের ০.৩৮৫৯ একর জমি অধিগ্রহণ করেছে বলে নিরীক্ষক জানিয়েছেন।

এদিকে বিভিন্ন গ্রাহকের কাছে যমুনা অয়েলের ১৭৬ কোটি ৩২ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে। এরমধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পাওয়ার ডেভোলপমেন্ট বোর্ডের কাছে ১৩ কোটি ৪৬ লাখ টাকা, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের কাছে ৫ কোটি ১ লাখ টাকা ও চিটাগাং সিটি করপোরেশনের কাছে ৫৮ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে। এ নিয়ে টাকা আদায়ে যমুনা অয়েলের সঙ্গে গ্রাহকদের সমঝোতা হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।

উল্লেখ্য সোমবার (০৩ ডিসেম্বর) লেনদেন শেষে যমুনা অয়েলের শেয়ার দর দাড়িঁয়েছে ১৮৭.২০ টাকায়