সরকার গত এক বছরে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সফল হয়েছে

সান বিডি ডেস্ক আপডেট: ২০১৮-১২-০৫ ১৩:৩২:১৭


 

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সফল হয়েছে সরকার। চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস থেকে মূল্যস্ফীতি কমার ধারা নভেম্বর মাসেও অব্যাহত ছিল।

নভেম্বর মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে সাধারণ মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৩৭ শতাংশে। তার আগের মাসে যা ছিল ৫ দশমিক ৪০ শতাংশ। আর এক বছর আগে ছিল ৫ দশমিক ৯১ শতাংশ।

অর্থাৎ এক মাসে দেশের মূল্যস্ফীতি দশমিক শূন্য তিন শতাংশ কমেছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) সর্বশেষ যে প্রতিবেদন তৈরি তাতে এই তথ্য উঠে এসেছে।

পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, এ বছর দেশে আমাদের প্রধান খাদ্যদ্রব্য ধানসহ অন্যান্য সব ধরনের ফসলের বাম্পার ফলন হয়েছে। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক বাজারেও খাদ্য দ্রব্যের মূল্য নিম্নগামী। সে কারণে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরের জন্য মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে রাখার টার্গেট রয়েছে সরকারের। মুল্যস্ফীতির নিম্নগামী হওয়ার এ ধারা অব্যাহত থাকলে সাধারণ গড় মূল্যস্ফীতি আরও কম হতে পারে। সে হিসেবে সরকার টার্গেট পূরণ হবে।

পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রতিবেদনে দেখা যায়, নভেম্বর মাসে দেশে খাদ্যখাতে সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ২৯ শতাংশ, তার আগের মাস অক্টোবর মাসে এ হার ছিল ৫ দশমিক ০৮ শতাংশ। গত মাসে খাদ্য বহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ, আগের মাস অক্টোবরে এ হার ছিল ৫ দশমিক ৯০ শতাংশ।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, নভেম্বর মাসে গ্রামাঞ্চলে সাধারণ মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে। গ্রামীণ সূচকে সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৪ দশমিক ৯১ শতাংশ। আগের মাস অক্টোবরে এ হার ছিল ৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ।

ওই মাসে গ্রামে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ, আগের মাসে এ হার ছিল ৪ দশমিক ৫২ শতাংশ। আর খাদ্য বহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ০৬ শতাংশ, আগের মাসে এ হার ছিল ৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ।

প্রতিবেদন অনুযায়ী গত নভেম্বর মাসে শহর এলাকায়ও সাধারণ মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। ওই মাসে শহরাঞ্চলে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ২১ শতাংশ। আগের মাসে এ হার ছিল ৩৮ শতাংশ।