মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিনিয়োকারীদের ৬৯ অভিযোগ
পুঁজিবাজার ডেস্ক প্রকাশ: ২০১৮-১২-১৩ ১২:৪২:৪১
তালিকাভুক্ত বিভিন্ন কোম্পানির ন্যায় পুঁজিবাজার মধ্যস্থতাকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামেও বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) ৬৯টি অভিযোগ করেছে। বিএসইসির সর্বশেষ প্রকাশিত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
পুঁজিবাজারে মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে মার্চেন্ট ব্যাংক, স্টক ডিলার, স্টক ব্রোকার, ডিপজিটরি পার্টিসিপেন্টস, সিকিউরিটি কাস্টডিয়ান ব্যাংক, মার্কেট মেকার্স, সিকিউরিটি লেন্ডারস ও বরোয়ার্স কাজ করছে। বিভিন্ন কোম্পানি যেমন লভ্যাংশ না দিয়ে বা দেরিতে দিয়েসহ নানা অনিয়ম করে থাকে। ঠিক একইভাবে মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোও শেয়ার হস্তান্তর না করে এবং বিক্রয়ের পরেও টাকা পরিশোধ না করে বিভিন্ন অনিয়ম করে। যাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানির ন্যায় মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিনিয়োগকারীদের অভিযোগের শেষ নাই।
২০১৬-১৭ অর্থবছরে বিনিয়োগকারীরা মধ্যস্থতাকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ৬৯টি অভিযোগ করেছে। এছাড়া পূর্বের অনিস্পত্তিকৃত ১৯টি অভিযোগ ছিল। সবমিলিয়ে বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ দাড়ায় ৮৮টি। এরমধ্যে ৪৮টি নিস্পত্তি করা হয়েছে। এছাড়া ১২টি স্থগিত বা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, ১৭টি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিএসইসির এনফোর্সমেন্ট বিভাগে ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ডিএসই এবং সিএসইতে ১১টি অভিযোগ পাঠানো হয়েছে।
মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের মধ্যে রয়েছে-শেয়ার হারিয়ে ফেলা, অনুমোদন ছাড়া শেয়ার বিক্রয়, শেয়ার হস্তান্তর না করা, বিক্রয়কৃত শেয়ারের অর্থ পরিশোধ না করা, ফোর্স সেল, শেয়ার হস্তান্তর না করার কারণে আর্থিক ক্ষতি, শেয়ার না পাওয়া, স্কট ডিলার/ব্রোকারের দূর্ণীতি ও অনিয়ম।
দেখা গেছে, বিক্রয়কৃত শেয়ারের অর্থ পরিশোধ না করার কারণে বিনিয়োগকারীরা ২০১৬-১৭ অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ করেছে। এই অনিয়মের কারণে ১৯টি অভিযোগ করা হয়েছে। এছাড়া শেয়ার হারিয়ে ফেলার কারনে ৭টি, শেয়ার হস্তান্তর না করার জন্য ৬টি, অনুমোদন ছাড়া শেয়ার বিক্রয়ের কারনে ১৬টি, ফোর্স সেল/মার্জিন সংক্রান্ত ৭টি, শেয়ার না পাওয়ার কারণে ২টি, স্টক ডিলার/ব্রোকারের দূর্ণীতি ও অনিয়ম নিয়ে ৬টি এবং বিবিধ কারনে ৬টি অভিযোগ করা হয়।
সান বিডি/এসকেএস