১৪ প্রতিশ্রুতি ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারে

নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০১৮-১২-১৭ ১৪:০১:২১


১৪টি প্রতিশ্রুতি নিয়ে নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। নির্বাচনে জয়ী হলে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে তারা যে প্রতিশ্রুতিগুলো পালন করবে তার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ দেওয়া হয়েছে ঘোষিত ইশতেহারে।

সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর পল্টনে প্রীতম-জামান টাওয়ারে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান কার্যালয় থেকে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করা হয়।

ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন সূচনা বক্তব্য দেন এবং নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না ইশতেহার পাঠ করেন।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী ইশতেহারে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিল, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ চলমান রাখা, নির্বাচনকালীন সরকারের বিধান তৈরি, প্রধানমন্ত্রী-রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য আনা ও একটানা দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকা যাবে না বিধান রেখে আইন তৈরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া  হয়েছে।

এ ছাড়া পুলিশ ও সামরিক বাহিনী ছাড়া সরকারি চাকরিতে প্রবেশের কোনো বয়সসীমা থাকবে না বলেও উল্লেখ করা হয়েছে ইশতেহারে।

 

ইশতেহারে উল্লেখযোগ্য প্রতিশ্রুতিগুলোর মধ্যে আছে, ব্যাংকিং সেক্টরে লুটপাটে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে, দুর্নীতি দমন কমিশনকে সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়া হবে, এই সরকারের আমলের দুর্নীতি তদন্ত করে তার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে, স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করা হবে, রিমান্ডের নামে পুলিশি হেফাজতে যেকোনো শারীরিক নির্যাতন বন্ধ করা হবে, সাদা পোশাকে কাউকে গ্রেফতার করা যাবে না, মিথ্যা মামলায় অভিযুক্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে এবং মিথ্যা মামলায় সহায়তকারী পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে, কর্মক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াতের সকল ক্ষেত্রে নারীর ওপর বাচিক কিংবা শারীরিক যৌন হয়রানির ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স দেখানো হবে, নির্বাচন কমিশনকে পূর্নাঙ্গ স্বাধীনতা দেওয়াসহ অন্যান্য পদক্ষেপ দেওয়ার মাধ্যমে মুক্তভাবে মানুষের ভোটাধিকার প্রয়োগের অধিকার নিশ্চিত করা হবে, সংসদে উচ্চকক্ষ সৃষ্টি করা হবে, সবার সাথে আলোচনার মাধ্যমে ৭০ অনুচ্ছেদে পরিবর্তন আনা হবে।

 

ইশতেহারের শুরুতে বলা হয়েছে, ‘নির্বাচনে জিতে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পেলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট দেশের সকল নাগরীকের কল্যাণে সরকার পরিচালনা করবে। এই পরিচালনার মূলনীতি হবে ঐক্যমত্য, সকলের অন্তর্ভুক্তি ও যে কোনো রকম প্রতিহিংসা থেকে মুক্ত থাকা। ‘প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ’ সংবিধানের সপ্তম অনুচ্ছেদে বর্ণিত এই নীতির ভিত্তিতে সরকার পরিচালনায় যাবতীয় পদক্ষেপের ভিত্তি হবে রাষ্ট্রের মালিকগণের মালিকানা সুদৃঢ় করা।’