আপনাদের ভোট নেত্রীর জীবনকে আলোয় উদ্ভাসিত করবে: ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০১৮-১২-১৯ ০৯:৪৮:০২


একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় গেলে ‘রাষ্ট্রে জনগণের মালিকানা সুদৃঢ়’ করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে বিএনপির নির্বাচনী ইশতেহারে। দলটি নির্বাচনের সময়ের গণতন্ত্রকে ‘নিত্যদিনের অনুশীলনে পরিণত’ করবে বলে অঙ্গীকার করেছে।

ইশতেহারে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য আনা, দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী পদে না থাকার বিধান, গণভোট পদ্ধতি পুনঃপ্রবর্তন, উচ্চকক্ষ সংসদ প্রতিষ্ঠা, বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার নিয়োগ, ন্যায়পাল নিয়োগ, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, অফিশিয়াল সিক্রেট অ্যাক্ট বাতিল, বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ বাতিল, বেকার ভাতা প্রদানসহ ১৯ দফা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সম্মান রক্ষায় ধানের শীষে ভোট চেয়েছেন দলটির নেতারা।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে লেকশোর হোটেলে বিএনপির নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন। ভোটের ১১ দিন আগে দেওয়া এই ইশতেহারে রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি কী কী করবে, তার বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি। বিএনপির নির্বাচনী ইশতেহারে দেখা গেছে, এর বেশির ভাগ দফার সঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারের মিল রয়েছে।

ইশতেহার ঘোষণা করে মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচনে জয়লাভ করে সরকার গঠন করলে ঐকমত্য, সবার অন্তর্ভুক্তি ও প্রতিহিংসাহীনতা—এই মূলনীতির ভিত্তিতে বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনা করবে। ‘প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ’— সংবিধানের এই নীতির ভিত্তিতে সরকার পরিচালনায় যাবতীয় পদক্ষেপের ভিত্তি হবে রাষ্ট্রের মালিকদের মালিকানা সুদৃঢ় করা।

৯ পৃষ্ঠার ইশতেহার তুলে ধরতে গিয়ে ফখরুল বলেন, আজকের এই মুহূর্তে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আমাদের সঙ্গে নেই। তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে নির্জন কারাবাস করছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে দেশে ফিরতে পারছেন না। আপনাদের একটি ভোট আমাদের নেত্রীর জীবনকে পুনরায় আলোয় উদ্ভাসিত করবে। তাঁদের সম্মান ও মর্যাদা রক্ষায় জনগণের কাছে বিএনপির পক্ষে ভোট চাই।