নির্বাচনে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিচ্ছে দলগুলো

নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০১৮-১২-২৯ ১১:৩১:১১


একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিচ্ছে দলগুলো। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট আর বিএনপি নেতৃত্বাধীন রয়েছে ঐক্যফ্রন্ট। উভয় জোটই প্রকাশ করেছে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি। প্রচারণার শেষে এখন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিয়েই ব্যস্ত তারা।
এবার নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট তিন শ’ আসনে মূল দল আওয়ামী লীগ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে ২৫৮টি আসনে। বাকি ৪২টি আসনে শরিকের অন্যান্য দলগুলো। এরমধ্যে প্রধান শরিক দল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টি নির্বাচন করছে সর্বোচ্চ-২৭টি আসনে। রাশেদ খান মেননের ওয়ার্কাস পার্টি-৫টি, হাসানুল হক ইনুর জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ ৩টি, আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর জাতীয় পার্টি (জেপি)-১টি, সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর তরীকত ফেডারেশন-২টি, শরীফ নুরুল আম্বিয়ার জাসদ (আম্বিয়া)-১টি আর বদরুদ্দোজা চৌধুরীর জাতীয় যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন করছে ৩টি আসনে।
এদিকে, আগামীতে ক্ষমতায় গেলে দেশ ও মানুষের কল্যাণে কী কাজ করবে, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ তার ২১টি প্রতিশ্রুতি দিয়ে সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা।
এতে প্রতিটি গ্রামকে নগর সুবিধার আওতায় নিয়ে আসা, তরুণ ও যুব সমাজকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর ও কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা দেয়া, দুর্নীতি-সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ, মেগা প্রজেক্টসমূহের দ্রুত ও মানসম্মত বাস্তবায়ন, গণতন্ত্র ও আইনের শাসন সুদৃঢ় করাই দলটির মূল লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অন্যদিকে এবারের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট তিন শ’ আসনের চূড়ান্ত তালিকায়, মূল দল বিএনপি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে ২৪০টি আসনে। বাকি ৬০টি আসনে অন্যান্য শরিক দলগুলো। এরমধ্যে সর্বোচ্চ ২২টি আসনে পেয়েছে জামায়াত থেকে। এছাড়া, ডক্টর কামাল হোসেনের গণফোরাম ৭টি, আ স ম আব্দুর রবের জেএসডি ৪টি, মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্যের ৪টি, কাদের সিদ্দিকীর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ৪টি আর ২০ দলের অন্যান্য দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে বাকি ১৯টি আসনে।
বিএনপির নির্বাচনী ইশতেহারে ক্ষমতায় গেলে গুরুত্ব পাবে, প্রথম ৩ বছরে মেধার ভিত্তিতে ২ লাখ নাগরিক চাকরি পাবে, পাঁচ বছরে ১ কোটি নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শিক্ষিত বেকারদের ভাতা, পরপর দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী না থাকা। বিডিআর হত্যাকাণ্ড বিচারের মতো বিষয়গুলো আমলে নিবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এবার সংসদ বহাল রেখেই দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। যেখানে অংশ নিচ্ছে দেশের সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল।