জবির ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে আটক পাঁচ
আপডেট: ২০১৫-১১-০৬ ২২:৩০:৫৬
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের প্রথমবর্ষ সম্মান শ্রেণীর ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির দায়ে জবির দুই শিক্ষার্থীসহ ৪ জনকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া একজনকে রমনা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেল ৪টায় জবি প্রক্টর অফিসে অনুষ্ঠিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাদের সাজা দেয়া হয়।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, জালিয়াতি চক্রের সদস্য জবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের পঞ্চম ব্যাচের শিক্ষার্থী রাশিদুল ইসলাম ও একই ব্যাচের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিবুল এবং ভর্তি পরীক্ষার্থী মোকাম উদ্দীন গাজী ও জোবায়ের। এছাড়া, সিদ্ধেশ্বরী গার্লস স্কুল কেন্দ্র থেকে আটক পরীক্ষার্থী ফয়সাল আহমেদকে রমনা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেল ৩টা থেকে এ পরীক্ষা শুরু হওয়ার কিছু পরে তাদেরকে আটক করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মমতাজ বেগম বলেন, ভর্তি পরীক্ষার্থী মোকাম উদ্দীন গাজী ও জোবায়েরকে পরীক্ষার হলে অসদুপায় অবলম্বন করার অভিযোগে ১ মাস করে সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া, জালিয়াতি চক্রের সদস্য রাকিবুলকে পাবলিক পরীক্ষা আইন ১৯৮০ এর ৯ ধারা অনুযায়ী এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে এবং ভর্তি জালিয়াতি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে বিচারিক কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে রাশিদুল ইসলামকে পাবলিক পরীক্ষা আইন ১৯৮০ এর ৯ ও ১১ ধারা অনুযায়ী দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
প্রক্টর অফিস সূত্রে জানা গেছে, বাংলাবাজার গার্লস স্কুলস কেন্দ্র থেকে মোকাম উদ্দীন গাজী এবং ঢাকা সিটি কলেজ কেন্দ্র থেকে জোবায়েরকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া, জবির প্রধান ফটকের সামনে রাস্তার বিপরীত পার্শ্বে অবস্থিত ফুজি কালার ল্যাবের সামনে থেকে জালিয়াতি চক্রের সদস্য জবি শিক্ষার্থী রাশিদুল ইসলাম ও রাকিবুলকে আটক করা হয়।
উল্লেখ্য, এবার ‘ডি’ ইউনিটের ৫৬০টি আসনের (মানবিক-৩৫০, বিজ্ঞান-১৩৪ ও বাণিজ্য ও অন্যান্য-৭৬) বিপরীতে ৪৯ হাজার ৯৩০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন করে। প্রতি আসনের বিপরীতে ৮৯ জন শিক্ষার্থী প্রতিদ্বন্দীতা করেছেন।
জবি প্রক্টর ড, নূর মোহাম্মাদ বলেন, জালিয়াতির অভিযোগে এক শিক্ষার্থী এবং তার দুই সহযোগীকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া, ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি রোধে সর্বোচ্চ কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আরো জানান তিনি।