আজকের রায় হোক অনন্ত দৃষ্টান্ত

আপডেট: ২০১৫-১১-০৮ ১৩:৪০:৪২


Razonবহুল আলোচিত সিলেটের শিশু রাজন হত্যা এবং খুলনার রাকিব হত্যা মামলার রায় হতে যাচ্ছে আজ রোববার। মাত্র চার ও তিন মাসের মাথায় অমানবিক এ ঘটনা দুটির বিচারের রায় হতে যাচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে নিম্ন আদালতে এত দ্রুত বিচারের রায় হওয়ার প্রথম নজির হবে এটি।

গত ৮ জুলাই সিলেটের কুমারগাঁওয়ে সামিউল আলম রাজনকে চোর সাজিয়ে নির্মম নির্যাতন করে হত্যা করা হয়। এবং গত ৩ আগস্ট বিকেলে খুলনা নগরীর টুটপাড়া এলাকায় শরীফ মটরসে কম্প্রেসার মেশিন দিয়ে শিশু রাকিবের পায়ূপথে হাওয়া ঢুকিয়ে হত্যা করা হয়।

সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট মফুর আলী  জানান, আদালত আজ রোববার রাজন হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করবেন। গত ২৭ অক্টোবর রায়ের এ তারিখ ধার্য করেন আদালত।

গত ১৬ আগস্ট রাজন হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক সুরঞ্জিত তালুকদার ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। আদালত ২৪ আগস্ট, সোমবার চার্জশিট আমলে নেন। পরে ২২ সেপ্টেম্বর ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে রাজন হত্যা মামলায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এ মামলার প্রধান আসামি পলাতক কামরুল ইসলামকে গত ১৫ অক্টোবর সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।

অপরদিকে, গত ১ নভেম্বর দুপুরে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের (ভারপ্রাপ্ত) বিচারক মোসাম্মাৎ দিলরুবা সুলতানা রাকিব হত্যা মামলার রায়ের জন্য আগামীকাল রোববার দিন ধার্য করেন।

এ মামলায় নিহত শিশুর বাবা মো. নূর আলম বাদী হয়ে ঘটনার পরদিন ৪ আগস্ট তিন জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। গত ২৫ আগস্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) কাজী মোস্তাক আহমেদ এজাহারভুক্ত তিন আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাভভোকেট মোমিনুল ইসলাম  জানান, রোববার এ মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। এ হত্যাকাণ্ডের মাত্র তিন মাস পাঁচ দিনের মাথায় রায় ঘোষণা করা হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ মামলার রায় ঘোষণা বাংলাদেশে বিচার ব্যবস্থার একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। এতে অপরাধীদের অপরাধ প্রবণতা হ্রাস পাবে। এ রায়ে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

রায়ের ব্যাপারে রাকিবের বাবা মো. নূর আলম বলেন, ‘রায়ে অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হবে বলে আশা করছি।’

অন্যদিকে রাজনের বাবা আজিজুর রহমান বলেন, ‘আমি আমার ছেলের হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই। ওদের ফাঁসি হলে আমার ছেলের আত্মা কিছুটা হলেও শান্তি পাবে।’

মা লুবনা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলেকে অনেক কষ্ট দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। একফোঁটা পানি চেয়েও পায়নি সে। আমি আমার ছেলের হত্যার সঠিক বিচার চাই।’