বিশ্বব্যাংক উপানুষ্ঠানিক শিক্ষায় বিনিয়োগ করতে চায়
সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০১৯-০২-২৭ ২০:৪৯:১০
বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা র্কাযক্রমে বিনিয়োগ করতে চায় । এ খাতে সরকারের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
বুধবার ২৭ ফেব্রুয়ারি বিকেলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ ইচ্ছা প্রকাশ করেন বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দল। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা নিয়ে আলোচনা করে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেয় বিশ্বব্যাংক। এ শিক্ষাকে দ্বিতীয় সুযোগ কার্যক্রম উল্লেখ করে মন্ত্রণালয়ও এ ব্যাপারে কারিগরি দিক থেকে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করে।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দলে ছিলেন জ্যেষ্ঠ পরিচালক হাইমে সাভেদ্রা, ব্যবস্থাপক ক্রিস্টিয়ান এদো, জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ সৌরভ দেব ভট্ট ও রাশেদ আল জায়েদ, জ্যেষ্ঠ পরিচালন কর্মকর্তা মোখলেসুর রহমান এবং বিশ্লেষক এম মার্সেলা। অন্যদিকে প্রতিমন্ত্রী ছাড়াও মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিরা শিশু শিক্ষার ব্যাপারে সচেতন উল্লেখ করে বলেন, শিক্ষার গুনগতমান উন্নয়নে শিক্ষক নিয়োগ এবং প্রশিক্ষণ প্রদানে অবশ্যই স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা থাকতে হবে। মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে কাজ করছে বলে জানান সচিব। যোগ্য ব্যক্তিকে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি দেয়া হচ্ছে এবং পেশাগত প্রশিক্ষণ প্রদানে প্রথাগত পদ্ধতির বাইরে আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এ সময় মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা আরও জানান, পিইডিপি-৪ এর আওতায় সক্ষমতা-ভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। বৈশ্বিক জ্ঞানকে আঞ্চলিকভাবে প্রয়োগে মন্ত্রণালয় ক্রমাগত গবেষণা করে যাচ্ছে।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিরা ক্লাসরুমে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে পারস্পরিক যোগাযোগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তারা বলেন, মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণে ব্যবস্থাপকীয় এবং একাডেমিক দিক থেকে অবশ্যই দ্বিমুখী যোগাযোগ বা টু-ওয়ে কমিউনিকেশন থাকতে হবে।
আলোচনাকালে মিয়ানমার থেকে বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা দেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে বিশ্বব্যাংক। এ সময় প্রক্রিয়াটি ন্যাশনাল টাস্কফোর্স সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানায় মন্ত্রণালয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের সম্পর্ক এক যুগেরও বেশি সময় ধরে উল্লেখ করে দুই পক্ষের আলোচকেরাই সম্পর্ককে সুসংহত করার জোর দেন।