বাড়তি বিনিয়োগ সমন্বয়ের সময় বাড়ছে!

প্রকাশ: ২০১৫-১১-১১ ১৬:৫৮:৫০


DSE_CSE_logoপুঁজিবাজারে ব্যাংক ও নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বাড়তি বিনিয়োগ সমন্বয়ের সময় বাড়ছে। আজ বুধবার অর্থমন্ত্রণালয়ে এক জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

একাধিক সূত্র অর্থসূচককে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে এখনও কিছু জানানো হয়নি।

অর্থসূচকের সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছেন।

সূত্র জানিয়েছে একটি বিশেষ অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে বাড়তি বিনিয়োগ সমন্বয়ের সময় বৃদ্ধি করা হবে। পরবর্তীতে জাতীয় সংসদে আইন আকারে এটি পাস করিয়ে নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য গত সোমবার ব্যাংক ও নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বাড়তি বিনিয়োগ সমন্বয়ের সময় বাড়ানোর প্রস্তাব অর্থমন্ত্রীর কাছে জমা দেয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

টানা দর পতন আর ব্রোকারহাউজগুলোর অনুরোধের প্রেক্ষিতে বিএসইসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম খায়রুল হোসেন গত সোমবার সকালে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করেন।

তিনি মন্ত্রীকে জানান, ব্যাংকের বিনিয়োগ সমন্বয়ের বাড়তি চাপে বাজারে এমন দরপতন হচ্ছে। ব্যাংকগুলোকে পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হলে বাজার স্বাভাবিক হয়ে উঠবে। তখন মন্ত্রী প্রতিষ্ঠানগুলোর ওই প্রস্তাব বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানোর পরামর্শ দেন।

এর পরেই গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আহমেদ রশিদ লালী এবং ইবিএল সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ ছায়েদুর রহমান অর্থমন্ত্রীর সাথে দেখা করেন।

তখন আবুল মাল আব্দুল মুহিত পুঁজিবাজারের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তাদের। তখন তিনি তাদের আজ বুধবার বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্তের কথা জানান।

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার ব্যাংক ও লিজিং কোম্পানিভিত্তিক ৩০টি  ব্রোকার বিএসইসির কাছে চিঠি দিয়ে পুঁজিবাজারে বাড়তি বিনিয়োগ সমন্বয়ের সময় বাড়িয়ে ২০২০ পর্যন্ত করার বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার অনুরোধ জানান।

বিএসইসির সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ঋণাত্মক ইক্যুইটির বিনিয়োগ হিসাবে লেনদেনের সুযোগ ২০২০ সাল পর্যন্ত বাড়ানোর দাবি জানানো হয়। একইভাবে লোকসানের বিপরীতে সঞ্চিতি রাখার বাধ্যবাধকতা শিথিলের মেয়াদও ২০২০ সাল পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব করেন তারা।

এছাড়া বৈঠকে ব্রোকারহাউজের নতুন শাখা খোলার অনুমতি দেওয়ার দাবি জানানো হয়। তিনটি বিষয়েই ইতিবাচক সাড়া দেয় বিএসইসি।

উল্লেখ, বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় এর আগে বিএসইসি ঋণাত্মক ইক্যুইটির হিসাবে লেনদেন বন্ধ রাখা এবং লোকসানের বিপরীতে সঞ্চিতি রাখার শর্ত শিথিল করলেও চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর এর মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। এর প্রেক্ষিতেই সময় বাড়ানোর দাবি জানানো হয়।

 সানবিডি/ঢাকা/এসএস