ফাঁসির রায় শুনার পর যা করলেন ঐশী !

প্রকাশ: ২০১৫-১১-১২ ২০:৩৭:১৪


photoপুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী স্বপ্না রহমানকে হত্যা করার দায়ে এই দম্পতির মেয়ে ঐশী রহমানকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।

ঐশী আগেই জানতেন যে আজ এই হত্যা মামলার চূড়ান্ত রায় দেওয়া হবে। তবে সেই রায় যে ফাঁসির আদেশ হবে সেটা ভাবেননি। আদালতে আসার সময় মুখ ঢেকে মাথা নিচু করে এলেও বেশ স্বাভাবিকই ছিলেন। তখন তাকে বিচলিত দেখায়নি। তবে ফাঁসির শুনার পর নিজেকে আর সামলাতে পারেননি।

ফাঁসির রায় শোনার পর আর কান্না ধরে রাখতে পারলেন না ঐশী। রায় পড়া শেষ হতে না-হতেই অঝোরে কাঁদতে শুরু করেন ঐশী। এ সময় তাঁর পাশে থাকা নারী পুলিশ সদস্যরা তাঁর চোখ মুছে দেন। পরে আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেন ঐশী। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিলও করবেন বলে আইনজীবীদের জানিয়েছেন তিনি।

ঐশীর আইনজীবী মাহবুবুর রহমান রানা বলেন, ‘রায় ঘোষণার পর জানতে চাইলে তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে আমাকে জানিয়েছেন।’

এর আগে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাঈদ আহমেদ এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। এতে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি ঐশীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

আজ বেলা ১১টার দিকে ঐশীকে আদালতে নেওয়া হয়। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাঈদ আহমেদ রায় পড়া শুরু করেন।

২০১৪ সালের ৯ মার্চ ঐশীকে প্রধান আসামি করে তিনজনের বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক আবুল খায়ের।

পরে গত বছরের ৩০ নভেম্বর ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ বি এম সাজেদুর রহমান তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এ মামলায় বিভিন্ন সময়ে ৪৯ সাক্ষীর মধ্যে ৩৭ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।

২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর মালিবাগের চামেলীবাগের বাসা থেকে পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী স্বপ্না রহমানের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় ১৭ আগস্ট নিহত মাহফুজুর রহমানের ছোট ভাই মো. মশিউর রহমান রুবেল পল্টন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। একই দিন পল্টন থানায় আত্মসমর্পণ করেন ঐশী।

সানবিডি/ঢাকা/রাআ