বস্তুর বাহ্যিক নিপুনতার স্বাক্ষর বহন করতে পারে রঙ

জেলা প্রতিনিধি আপডেট: ২০১৯-০৫-৩০ ১৩:১৩:২৬


কোন কিছুর প্রথম দর্শনে তার বাহ্যিক অবয়র পরিদৃষ্ট হয়। বাহ্যিক চাকচিক্যের নিপুণতার উপরই বস্তুর গুণাবলীর দিকে মানুষ ধাবিত হয়। এজন্যই বলা হয় আগে তার দর্শনারী, তারপর গুনবিচারী। আর বস্তুর এই বাহ্যিক নিপুনতার স্বাক্ষর বহন করতে পারে রঙ।

আসন্ন ঈদে কেনাকাটার ফাকে তার ঘরের আসবাবপত্র পরিস্কার,সুন্দর, মনোমুগ্ধকর করার জন্য বা ঘরের দেয়ালে রঙ করার ক্ষেত্রেও পিছিয়ে নেই আগ্রহী ক্রেতারা। নিজের ঘরকে  নতুন সাজে সাজাতে কিনছেন আগ্রহী ক্রেতারা নিজেদের মন মাতানো রঙ। ঘরের সৌন্দর্যের বিন্দুমাত্র ঘাটতি থাকলে গৃহকর্তীর ঘুম হয়না।  চটে যান  গৃহকর্তার উপর। থাকার আশ্রয়ের স্থান মনের মতো রাখার জন্য বছর বছর ঘরের রঙ এর কাজের প্রয়োজন পড়ে প্রতিটি পরিবারের। আর ঈদ আসলে যেন  এই প্রয়োজন আরো একধাপ এগিয়ে যায়।

তাই আসন্ন  ঈদের পূর্বে ঘরের  কাঠ জাতীয় আসবাবপত্রের জন্য এনামেল জাতীয় রঙ এর পাশাপাশি দেয়ালের মসৃনতার জন্য প্লাস্টিক পেইন্ট এর চাহিদাও সমান তালে বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানান ক্রেতারা। কিন্তু ভোক্তভোগী ক্রেতাসাধারণের সাথে বললে নানা অভিযোগ উঠে,  সব রঙ এর কোম্পানি এক সাথে এক দোকানে পাওয়া যায়না। ফলে তাদের নির্দিষ্ট কিছু রঙ এর উপর সন্তুষ্ট থাকতে হয়। এমনি কথা বলেন নয়া বাজারে রঙ এর দোকানে রঙ কিনতে আসা চাকরিজীবি জনাব আমান।

তাদের  অভিযোগের  প্রেক্ষিতে  নয়া বাজারের অন্যতম পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতা মেসার্স রেইনবো এন্টারপ্রাইজ এর ম্যানেজার জনাব সুমনকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি সানবিডিক বলেন, প্রত্যেক রঙ এর কোম্পানির সাথে ডিলারশীপ একা কোন কোম্মানির নেয়া বেশ কষ্ঠ সাধ্য। অনেকটা প্রায়ই অসম্ভব। তাই একেকটা রঙের দোকান নির্দিষ্ট কিছু কোম্পানি থেকে ডিলারশীপ নেয়। তাই সব কোম্পানির রঙ এাকসাথে এক দোকানে পাওয়া সম্ভব হয়না।

অপরদিকে নগরীর অন্যতম ব্যস্ততম এলাকা অলংকারের পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতা আলম হার্ডওয়্যার এর ম্যানেজার জুহুরুল আমিন সানবিডিকে বলেন, রঙয়ের যে মূল্য তা প্রায়ই নগরীর সব রং বিক্রেতারা একই মূল্যে বিক্রয় করে থাকে। তবে যদি কোন বড় এন্টারপ্রাইজ বা রঙ এর ব্যবসায়ী অধিক পরিমাণে রঙ কিনে সেক্ষেত্রে, রঙ কোম্পানি তাদের একটা ছাড় দেয় যা সব বিক্রেতারা দিতে না পারে। তবে গড়ে সব দোকানে প্রাই একই দর থাকে।

নগরীর জিইসি, আগ্রাবাদ, বড়পোল, নয়াবাজার, অলংকারের বিভিন্ন রঙ এর দোকান সরে জমিনে গিয়ে অধিক প্রচলিত কিছু রঙএর খুচরা মূল্য (গ্যালন প্রতি) নিন্মে উল্লেখিত হল:

উল্লেখ্য প্যাকেজে ক্রীত পাইকারী ক্রেতাদের বিক্রয় মূল্য কম-বেশি বিবেচ্য।

বার্জার সিনথেটিক এনামেল-১১৫০টাকা (গ্যালন প্রতি)

বার্জার প্লাস্টিক ইমালশন- ৯৪০টাকা।(গ্যালন প্রতি)

রার্জার ওয়েদার কোট- ১২৫০টাকা।(গ্যালন প্রতি)(শুধু দালানের/দেয়ালের বাইরে দেয়া রঙ।)

এশিয়ান সিনথেটিক এনামেল-১১২০টাকা।(গ্যালন প্রতি)

এশিয়ান প্লাস্টিক ইমালশান-৯২০টাকা।(গ্যালন প্রতি)

আরকেসিনথেটিক এনামেল-১০৫০টাকা(গ্যালন প্রতি)

অরকে প্লাস্টিক ইমালশন-৮৭০টাকা।(গ্যালন প্রতি)

মুনস্টার সিনথেটিক এনামেল ১০৩০টাকা।(গ্যালন প্রতি)

মুনস্টার প্লাস্টিক ইমালশন-৮৫০টাকা।(গ্যালন প্রতি)

আলকরিম সিনথেটিক এনামেল- ৯৮০টাকা।(গ্যালন প্রতি)

আলকরিম প্লাস্টিক ইমালশন- ৫৫০টাকা।(গ্যালন প্রতি)

নিপ্পন সিনথেটিক এনামেল-৮০০টাকা। (গ্যালন প্রতি)

নিপ্পন প্লাস্টিক ইমালশন- ৯২০টাকা।(গ্যালন প্রতি)