বিএসইসির চেয়ারম্যানের সফলতার জন্য শুভেচ্ছা দিলো এএএ ফাইন্যান্স

সান বিডি ডেস্ক আপডেট: ২০১৯-০৬-০৯ ১৬:৩১:১১


পুঁজিবাজারকে একটি শক্তিশালী ভিত্তির উপর দাঁড় করাতে দীর্ঘ আট বছর ব্যাপক সংস্কার কাজ করেছে বাংলাদেশের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অধ্যাপক ডা. এম. খায়রুল হোসেন। বিগত আট বছর ৭০টিরও বেশী সংস্কার মূলক কাজ করেছে খায়রুল হোসেনের নেতৃত্বাধীন কমিশন।

এজন্য সংস্থাটির চেয়ারম্যানকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছে দেশের অন্যতম ইস্যু-ব্যবস্থাপক প্রতিষ্ঠান এএএ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। সম্প্রতি বিএসইসির চেয়ারম্যানের হাতে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান খাজা আরিফ আহমেদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান, এবং সিওও মো. ফেরদৌস মজিদ।

প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে-বাংলাদেশের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এম. খায়রুল হোসেনকে দীর্ঘ আট বছর পুঁজিবাজারের উন্নয়নের জন্য গৃহীত পদক্ষেপসমূহের সফল বাস্তবায়ন হয়েছে। তার বাস্তবায়নকৃত পদক্ষেপ পুঁজিবাজারকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

উল্লেখ, ২০১০ সালে পুঁজিবাজার ধসে বিএসইসি ঢেলে সাজানো হয়। এর আলোকে ২০১১ সালের ১৫ মে বিএসইসিতে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান অধ্যাপক ড. এম খায়রুল হোসেন। প্রথমবার ৩ বছরের জন্য খায়রুল হোসেনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। যা শেষ হওয়ার আগেই পূণ:নিয়োগ পান তিনি। তবে এক্ষেত্রে তিনি ৪ বছরের জন্য পূণ:নিয়োগ পান। এরপরে শুধুমাত্র জনস্বার্থে গত বছরের ২৪ এপ্রিল তার ২ বছরের জন্য মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

খায়রুল হোসেনের নেতৃত্বে সরকার এতটাই আস্থাশীল যে, পুঁজিবাজারের যেকোন প্রয়োজনে তার ডাকে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী এগিয়ে আসেন। যিনি পুঁজিবাজার নিয়ে কমিশনের সঙ্গে ৭টি সভা করেছেন। পৃথিবীর কোথাও এমন নজির বিরল। এছাড়া পুঁজিবাজারের স্বার্থে অসংখ্যবার বিএসইসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন। এবং খায়রুল হোসেনের পরামর্শ অনুযায়ি বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন।

খায়রুল হোসেনের নেতৃত্বাধীন কমিশন বিগত ৮ বছরে ৭০টিরও বেশী সংস্কার করেছে। যা বিনিয়োগকারীর সুরক্ষাসহ বাজারের স্থিতিশীলতা বৃদ্বিতে সহায়ক ভূমিকা রেখেছে। যেসব সংস্কার বাস্তবায়নের আগে স্টক একচেঞ্জসহ সবার জনমত যাচাই করা হয়েছে।

খায়রুলের নেতৃত্ব নিয়ে বিভিন্ন সময় ভূয়সী প্রশংসা করেছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। বিএসইসির দেওয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০১০ সালে পুঁজিবাজার ধসের পরে বিএসইসি পূন:গঠন করা হয়। যে কমিশনের কয়েক বছর কেটেছে সংস্কারের মধ্য দিয়ে। এর মাধ্যমে কমিশন পুঁজিবাজারের ভিত্তি মজবুত করেছে। আর এখন পুঁজিবাজারকে এগিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে কমিশন দক্ষতা ও সক্ষমতার প্রমাণ রেখেছে। এছাড়া বিধিমালা ও আইনকানুন পরিপালনের মাধ্যমে বিএসইসি একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠানে রুপান্তর হয়েছে। যে কারনে বর্তমান কমিশনের উপর সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন অর্থমন্ত্রী। একইসঙ্গে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

মহাধসে ক্ষতিগ্রস্থ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে সরাসরি সহযোগিতা করার জন্য কাজ করেছে খায়রুল হোসেনে নেতৃত্বাধীন কমিশন। এক্ষেত্রে পুঁজিবাজারে ২০১০ সালে ধসে ক্ষতিগ্রস্থ বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) কোটা ব্যবস্থা অন্যতম। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্থ বিনিয়োগকারীদের জন্য ৯০০ কোটি টাকার সহায়তা তহবিল গঠনে কাজ করে এই কমিশন। একইভাবে পুঁজিবাজারের উন্নয়নে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসাবে চীনের কনসোর্টিয়ামকে চূড়ান্ত করার বিষয়ে সরাসরি সহযোগিতা করছেন চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য কমিশনারগণ।

খায়রুল হোসেনের ৮ বছরের নেতৃত্বে পুঁজিবাজারে কারসাজিরোধে বর্তমান কমিশন আধুনিক সার্ভিলেন্স সফটওয়্যার স্থাপন করেছেন। এছাড়া পুঁজিবাজারের উন্নয়নে পাবলিক ইস্যু রুলসের আধুনিকায়ন করা হয়েছে, উদ্যোক্তা/পরিচালকদের অসৎ উদ্দেশ্য প্রতিরোধে বোনাস শেয়ার বিক্রিতে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ, বিনিয়োগকারীদের সচেতন করতে বিনিয়োগ শিক্ষা, নিরীক্ষার মান উন্নয়নে প্যানেল অডিটরস গঠন এবং কোম্পানিতে স্বচ্ছতা আনয়নে যুগোপযোগি প্রাতিষ্ঠানিক সুশাষন দিক নির্দেশনা (সিজিজি) জারি ও উদ্যোক্তা/পরিচালকদের ন্যূনতম শেয়ার ধারনের নির্দেশনা জারি করেছেন।

এদিকে শেয়ার কেলেঙ্কারীতে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত বিচারের জন্য বিশেষ ট্রাইবুন্যাল গঠন করার ক্ষেত্রে বর্তমান কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এছাড়া পুঁজিবাজারে স্বচ্ছতা আনতে স্টক এক্সচেঞ্জে মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনা পৃথকীকরন (ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন), ভুতুড়ে অমনিবাস হিসাবকে পৃথককরন, ১৯৬৯ অধ্যাদেশের যুগোপযোগি সংশোধনী ও সব শেয়ারের অভিহিত মূল্য ১০ টাকা করা হয়েছে এই কমিশনের সময়ে।

এই কমিশনের কাজের সফলতায় বিএসইসি ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব সিকিউরিটিজ কমিশনসে (আইওএসসিও) বিএসইসি ‘এ’ ক্যাটাগরি অর্জন করেছে। যা ২০১৩ সালের ২২ ডিসেম্বর অর্জন হয়। এছাড়া বিএসইসির সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে নিজস্ব ভবন তৈরী করা হয়েছে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নিজস্ব অর্থায়নে ১০ তলা বিশিষ্ট ভবন তৈরী করা হয়েছে। যা ২০১৭ সালের ৮ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন।