মিয়ানমার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে মিথ্যাচার করছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সান বিডি ডেস্ক আপডেট: ২০১৯-০৬-১২ ১৪:২২:১০


পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, মিয়ানমার থেকে বাস্ত্যচ্যুত হওয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমার মিথ্যাচার করছে। তারা বলছে, বাংলাদেশের কারণে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে দেরি হচ্ছে। কিন্তু রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে এক পায়ে খাড়া বাংলাদেশ।

বুধবার(১২ জুন) সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফিং শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় রোহিঙ্গা সংকটের সর্বশেষ পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে তাদের সহায়তা চান তিনি।

ড. মোমেন বলেন, জাপানের ফিউচার এশিয়া সম্মেলনে মিয়ানমারের একজন মন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশের কারণেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে দেরি হচ্ছে। এটা ডাহা মিথ্যা কথা। বাংলাদেশ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে এক পায়ে খাড়া।

তিনি আরও বলেন, আমরা আমাদের প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে কিছু বলতে চাই না। তারা আমাদের বন্ধু। তাদের নিয়েই নিয়মের মধ্যে শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়া দরকার। কিন্তু এ রকম ডাহা মিথ্যা আমরা কেমন করে কতো হজম করতে পারি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা ফিরে যাক, এটাই আমরা চেয়েছি। বরং মিয়ানমার বারবার কথা দিয়েও কথা রাখছে না। আমরা তাদের সঙ্গে অ্যারেঞ্জমেন্ট করেছি। গত বছরের জানুয়ারি থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন শুরু হওয়ার কথা ছিল। দুই বছরের মধ্যে এটা শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু সেটা হয়নি। তারপরে বলা হলো, ২০১৮ সালের নভেম্বরে প্রক্রিয়া শুরু করবে। সেটাও হয়নি। কিছুদিন আগে মিয়ানমারে চতুর্থ যৌথ সম্মেলনে গেলাম, তখন আমরা খুব আশাবাদী ছিলাম। বোধ হয় প্রক্রিয়াটা শুরু হলো। কিন্তু সেটাও হয়নি।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের নিয়ে মিয়ানমার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, সেটা তারা রাখছে না। রাখাইনে ৮০০টি গ্রামের মধ্যে মাত্র দুটি গ্রামের পরিস্থিতি ভালো দেখিয়ে বলছে, সেখানে কোনো সমস্যা নেই।

এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা বিদেশি কূটনীতিকদের রোহিঙ্গা পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেছি। এ বিষয়ে তারা কী করবে, সেটা তাদের সিদ্ধান্ত। তবে আমরা তাদের সহায়তা চেয়েছি।

রোহিঙ্গা সংকটের শুরু থেকেই বিভিন্ন সময় সরকারের পক্ষ থেকে বিদেশি কূটনীতিকদের কাছে পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় এই ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। এতে ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, চীন, ভারত, সুইজারল্যান্ড, নরওয়ে, সুইডেন, ব্রাজিল, ফিলিস্তিন প্রভৃতি মিশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি এতে অংশ নেন।