পুঁজিবাজার নিয়ে বাজেটে থাকবে সুশাসন, প্রণোদনা ও সংস্কারমূলক দিক নির্দেশনা

নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০১৯-০৬-১৫ ১৩:০৪:০৩


‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ: সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’ শিরোনামের ‘স্মার্ট’ বাজেট দিতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, এফসিএ, এমপি। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৩ জুন, ২০১৯) জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হবে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট। এই বাজেটে পুঁজিবাজার নিয়ে থাকতে পারে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, পুঁজিবাজারের উন্নয়নে প্রণোনার বিষয় এবং সংস্কারমূলক দিক নির্দেশনা।

অর্থমণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, এই বাজেট আওয়ামী লীগ সরকার টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের এটা প্রথম বাজেট। একইসঙ্গে বর্তমান সরকারের অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, এফসিএ, এমপির এটি প্রথম বাজেট। যদিও গত সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী হিসেবে অনেক বাজেট প্রণয়নের সঙ্গে পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন তিনি।

‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ: সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’ শিরোনামের এবারের বাজেট হবে ‘স্মার্ট’ বাজেট। প্রচলিত ধারা থেকে বেরিয়ে নতুন আঙ্গিকে তৈরি করা হয়েছে এই বাজেট। এবারের বাজেটের আকার বাড়লেও  অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতা হবে সংক্ষিপ্ত। তবে এ বক্তৃতার একটি বর্ধিত সংস্করণ বাজেট বই আকারে সকলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। যা সর্বস্তরের জনসাধারণের জন্য হবে সহজপাঠ্য। বাজেটের লক্ষ্য সুদূরপ্রসারী হলেও তা অর্জন করতে চেষ্টা হবে সাধ্যের মধ্যে। আর এর মধ্যেই থাকবে দেশের ১৬ কোটি মানুষের স্বপ্ন পূরণের অঙ্গীকার। শুধু এক বছরের জন্য নয়, সূদুরপ্রসারী লক্ষ্য নিয়ে বিশেষ করে ২০৪১ সালকে টার্গেট করে তৈরি হয়েছে এবারের বাজেট।

রাজস্ব আদায়ে করের হার না বাড়িয়ে বরং করের আওতা বাড়িয়ে রাজস্ব আদায় বাড়ানো হবে। একইসঙ্গে এবারের বাজেটে রাজস্ব আদায়ের প্রক্রিয়া সহজ করতে এনবিআরের জন্য নতুন করে দিকনির্দেশনা থাকবে। ভ্যাট আইন কার্যকর করার বিষয়ে দিকনির্দেশনা থাকবে এবারের বাজেটে। আইন কার্যকর করতে ভ্যাটের একাধিক স্তর থাকবে। কাস্টমস আইন ও আয়কর আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধন এনে সহজবোধ্য ও ব্যবসায় বান্ধব করা হবে। সকল আমদানি-রপ্তানি পণ্য শতভাগ স্ক্যানিং করা হবে।

বাজেটে শিক্ষা খাতের সংস্কার, আর্থিক খাতের সংস্কার, পুঁজিবাজারে সুশাসন ও প্রণোদনা প্রদান বিষয়ে সংস্কারমূলক দিক নির্দেশনা থাকবে। আর এসবই হবে সাধারণ মানুষের কাছে আকর্ষণীয় এবং গ্রহণযোগ্য। এবার আকর্ষনীয় ডিজিটাল পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপন করা হবে। বাজেট বক্তৃতার বর্ধিত সংস্করণ, মূল বাজেট বক্তৃতাসহ অন্যান্য সকল ডকুমেন্ট ওয়েবসাইটে প্রকাশসহ জাতীয় সংসদ হতে সরবরাহ করা হবে।

বাজেটকে আরও অংশগ্রহণমূলক করার লক্ষ্যে অর্থ বিভাগের ওয়েবসাইট www.mof.gov.bd -এ বাজেটের সব তথ্যাদি ও গুরুত্বপূর্ণ দলিল যেকোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পাঠ ও ডাউনলোড করতে পারবে। দেশ বা বিদেশ থেকে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফিডব্যাক ফরম পূরণ করে বাজেট সম্পর্কে মতামত ও সুপারিশ প্রেরণ করা যাবে। প্রাপ্ত সকল মতামত ও সুপারিশ বিবেচনা করা হবে। জাতীয় সংসদ কর্তৃক বাজেট অনুমোদনের সময়ে ও পরে তা কার্যকর করা হবে। ব্যাপকভিত্তিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিম্নলিখিত সরকারি ওয়েবসাইট লিংক এর ঠিকানায় বাজেট সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যাবে।
www.bangladesh. gov.bd, www.nbr-bd.org, www.plancomm.gov.bd, www.imed.gov.bd, www.bdpressinform.portal.gov.bd, www.pmo.gov.bd