বৃষ্টি দিয়েই বর্ষার আগমন

সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০১৯-০৬-১৫ ১৮:০৮:৩১


প্রায় মাসব্যাপী  তীব্র গরমে  অস্বস্তিকর হয়ে উঠেছিল জনজীবন। তবে বর্ষা ঋতুর প্রথম দিনেই বৃষ্টির সঙ্গে নেমেছে স্বস্তি। যেন পঞ্জিকা মেনেই আষাঢ় মাস শুরু হলো বৃষ্টি দিয়ে। কড়া রোদের তীব্রতা শেষে শনিবার ভোর থেকেই আকাশে কালো মেঘের আনাগোনা। কখনও গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি। প্রকৃতিতে দিনভর বৃষ্টির আবহ। মেঘমেদুর আকাশের সঙ্গে থেমে থেমে খানিকটা বৃষ্টি নিস্তার দিয়েছে গরমের কবল থেকে। পূর্বাভাস এসেছে টানা কয়েকদিন এমন বৃষ্টিময় থাকবে আবহাওয়া।

আজ পহেলা আষাঢ়। গ্রীষ্মের টানা তাপপ্রবাহ শেষে বৃষ্টির হাত ধরে শুরু হয়েছে বর্ষাকাল। রাতভর গুমোট গরমের পর শেষ রাত থেকে রাজধানী ঢাকায় বৃষ্টির দেখা মিলেছে। বর্ষার প্রথম বৃষ্টিতে তাই কিছুটা স্বস্তি মিলেছে নগরবাসীর।

বাঙালির মননে সবচেয়ে বেশি রোমান্টিকতা-আধ্যাত্মিকতার সুর বেজেছে বর্ষায়। সাহিত্যজুড়ে তারই যেন প্রতিফলন। গ্রীষ্মের রুদ্র প্রকৃতির গ্লানি আর জরাকে ধুয়ে মুছে প্রশান্তি, স্নিগ্ধতা আর সবুজে ভরে তোলে বর্ষা। বহুকাল আগে কালিদাস মুগ্ধ হয়েছিলেন আষাঢ়ের রূপে। আষাঢ় শব্দটার মধ্যে কেমন একটা গুরুগম্ভীর ভাব আছে, আছে স্বপ্নাবিষ্ট এক মোহময়তা।

গানে-কবিতায় বাংলার কবিরা করেছেন বর্ষা-বন্দনা। গ্রীষ্মের খরতাপে অতিষ্ঠ প্রাণকে শীতলতা দানে জুড়ি নেই বর্ষাকালের। প্রকৃতিপ্রেমিক মানুষের কাছে তাই বর্ষা নিয়ে আসে অভিনব ব্যঞ্জনা আর কবিদের ক্ষেত্রে তো কথাই নেই। তাই ‘বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল’ দিয়ে প্রণয় নিবেদন করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। নজরুলের কাছে বর্ষাকে মনে হয়েছে ‘বাদলের পরী’। দেশের নৃতাত্বিক গোষ্ঠীর বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যেও রয়েছে বর্ষাকে নিয়ে নানা মিথ।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এবার আষাঢ়ের বেশ কিছুদিন বৃষ্টির দেখা মিলবে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

সেইসঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এদিকে রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, কিছু কিছু এলাকা থেকে তা প্রশমিত হতে পারে।