পুলিশের চাকুরিতে কেউ ঘুষ চাইলে তাৎক্ষনিক গ্রেফতার

সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০১৯-০৬-১৫ ১৯:২৮:০৯


নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, আগামী ২৪ জুন নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ লাইন্স মাঠে পুলিশের কনস্টেবল পদে সরাসরি পুরুষ ও মহিলা নিয়োগ দেয়া হবে। তিনি বলেন,পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগের ব্যাপারে আমি অত্যন্ত কঠোর। তবে বিনা পয়সায় পুলিশে চাকরি হবে। কোনো দালাল, সিন্ডিকেট চক্র, পুলিশ সদস্য, ভায়া কিংবা কারও মাধ্যমে পুলিশের চাকরির জন্য আবেদন করবেন না। কোনো ঘুষ চলবে না। শতভাগ স্বচ্ছতার মাধ্যমে পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ দেয়া হবে।

এসপি হারুন অর রশীদ বলেন, পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগে আর্থিক লেনদেন করবেন না। পুলিশ কনস্টেবল পদে ভর্তি হতে কোনো টাকা লাগবে না। কোনো দালাল, সিন্ডিকেট চক্র, পুলিশ সদস্য, ভায়া কিংবা কারও মাধ্যমে পুলিশে নিয়োগের ব্যাপারে আর্থিক লেনদেন হলে আমাকে জানাবেন। আমি তাৎক্ষণিক তাদের গ্রেফতার করব।

শনিবার দুপুরে চাষাঢ়া গোল চত্বর থেকে শুরু করে মণ্ডলপাড়া ব্রিজ পর্যন্ত হকারদের বিরুদ্ধে অভিযান শেষে চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

এসময় এসপি হারুন বলেন, নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া থেকে শুরু করে সিটি কর্পোরেশন পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সড়কের ডানে-বাঁয়ে কোনো হকার বসবে না। ফুটপাত হচ্ছে সাধারণ জনগণের। তারা ফুটপাত দিয়ে চলাচল করবে। সাধারণ মানুষের চলাচলে বিঘ্ন ঘটানো যাবে না। যদি কেউ হকারদের পক্ষ নিয়ে কথা বলেন তাদের অনুরোধ করব আপনারা হকারদের জন্য অন্য কোথাও বসার ব্যবস্থা করেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা হকারদের বিরুদ্ধে না, দরিদ্র মানুষের বিরুদ্ধে না। হকারদের অনুরোধ করব আপনারা সাধারণ মানুষের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দোকান বসাবেন না। কোনো বিশেষ ব্যক্তি ফায়দা নেয়ার জন্য হকারদের যেন ফুটপাতে বসাতে না পারে। আমরা সাধারণ মানুষকে সেবা দেয়ার জন্য কাজ করছি। আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

নারায়ণগঞ্জ শহরের ফুটপাত দখলমুক্ত করতে দুপুরে হকার উচ্ছেদে নামেন এসপি হারুন অর রশীদ। জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে শহরে হকার উচ্ছেদে অভিযান চালান তিনি। দুপুর ১২টায় চাষাঢ়া থেকে হকার উচ্ছেদ শুরু করে বঙ্গবন্ধু সড়কে অভিযান চালানো হয়। পরে কালিরবাজার হয়ে ২নং রেললাইন দিয়ে ডিআইটি এলাকা হয়ে মণ্ডলপাড়া পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশের হকার উচ্ছেদ করা হয়।

এছাড়া চাষাঢ়া থেকে মণ্ডলপাড়া পর্যন্ত ব্যবসায়ীরা নিজেদের সুবিধার্থে ফুটপাত দখল করে মালামাল রাখে। সেসব মালামাল সরিয়ে দেয় পুলিশ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) মোহাম্মদ নুরে আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুবাস চন্দ্র সাহা, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা পুলিশের ওসি কামরুল ইসলাম প্রমুখ।