ইট উৎপাদনকে শিল্পের আওতাভু্ক্ত করার সিদ্ধান্ত

সান বিডি ডেস্ক আপডেট: ২০১৯-০৬-২১ ১০:২৬:১৭


ইট উৎপাদনকে শিল্প হিসেবে ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। জ্বালানি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে তৈরি হওয়ায় একে শিল্পের আওতাভুক্ত করা হচ্ছে। শিল্প মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় শিল্প উন্নয়ন পরিষদের নির্বাহী কমিটির (ইসিএনসিআইডি) সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

সভায় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, শিল্পসচিব মো. আবদুল হালিম, পরিকল্প কমিশনের শিল্প ও শক্তি বিভাগের সদস্য সাহিন আহমেদ চৌধুরী, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সচিব রৌনক জাহানসহ শিল্প, বাণিজ্য, শ্রম ও কর্মসংস্থান, বস্ত্র ও পাট, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন, কৃষি, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

এ ছাড়া পরিবেশ ও বন, ভূমি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, মহিলা ও শিশু, বিদ্যুৎ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, স্থানীয় সরকার ও জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, বিসিক, বিসিআইসি, বিনিয়োগ বোর্ড, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, এসএমই ফাউন্ডেশন, পরিকল্পনা কমিশন, বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন, আইসিবি, বেপজা, বেজা, চট্টগ্রাম চেম্বার, বিসিআই, এমসিসিআই, নাসিব, বাংলাদেশ অটো ব্রিকস্ ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যাসোসিয়েশন, বাংলা ক্রাফ্ট, বিজিএপিএমইএ ও বিপিজিএমইএসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় হস্ত ও কারু শিল্প নীতিমালা ২০১৫ বাস্তবায়নের জন্য দ্রুত প্রকল্প গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। একই সঙ্গে এ শিল্পখাতে উৎপাদিত পণ্য বিপণনের জন্য রাজধানীর পূর্বাচলে হস্ত ও কারুপণ্য হোলসেল সেন্টার স্থাপনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

সভায় বিসিক শিল্পনগরী প্রকল্পগুলোর খালি প্লটে দ্রুত শিল্প গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়। শিল্পনগরী ভিত্তিক খালি প্লটের তালিকা মন্ত্রণালয়ে প্রেরণেরও নির্দেশনা দেয়া হয়। একই সাথে আগামী তিন মাসের মধ্যে জাহাজ নির্মাণ শিল্পনীতি চূড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।

সভায় শিল্পমন্ত্রী বর্তমান সরকারকে ব্যবসা ও শিল্পবান্ধব সরকার হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ব্যবসা করা নয়, শিল্প উদ্যোক্তাদের সহায়তা করাই সরকারের কাজ। এ নীতির ভিত্তিতে শিল্প মন্ত্রণালয় উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তা প্রদান অব্যাহত রেখেছে। তিনি শিল্পায়নের স্বার্থে উদ্যোক্তাদের যে কোনো ধরনের হয়রানি থেকে মুক্তি দিতে পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করার জন্য কর্মকর্তাদের পরামর্শ দেন।

ওয়ান স্টপ নয়, কাজে ওয়ান স্টপ সেবা নিশ্চিত করার তাগিদ দেন। রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানার জমি কোনোভাবেই বিক্রি করা হবে না উল্লেখ করে তিনি শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এগুলোর ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে বলে মন্তব্য করেন।

শিল্প প্রতিমন্ত্রী দ্রুত চিনি শিল্প নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা দেন। তিনি বলেন, এ নীতিতে ‘র’ সুগার আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক কাঠামো ঠিক করে দেয়াসহ দেশিয় চিনি শিল্পের স্বার্থ সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রাখতে হবে। সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে তিনি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানে যে কোনো দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেন।