ইসলামে ঈমান সম্পর্কিত বিষয় যেগুলো
সান বিডি ডেস্ক আপডেট: ২০১৯-০৬-২১ ১৫:০৭:৩৬
ইসলাম গ্রহণ করতে হলে বা মুসলিম হতে হলে ৭টি বিসয়ের উপর ঈমান আনতে হবে। ইসলমে ঈমান বলতে এ সাতটি বিষয়ের ইপর দৃঢ় বিশ্বাসকে বুঝায় ॥
এগুলোকে ঈমানে মুফসসাল তথা বিস্তারিত ঈমান বলা হয়। আরবীতে এগুলোকে শিখতে হয়।
امَنْتُ بِاللهِ وَمَلئِكَتِه وَكُتُبِه وَرَسُوْلِه وَالْيَوْمِ الْاخِرِ وَالْقَدْرِ خَيْرِه وَشَرِّه مِنَ اللهِ تَعَالى وَالْبَعْثِ بَعْدَالْمَوْتِ
অর্থাৎ আমি ঈমান আনলাম আল্লাহ, তার ফেরশতাগণ, তার কিতাবসমূহ, তার রাসূলগণ, শেষ দিন (পরকাল), তাকদীরের ভালো ও মন্দ আল্লাহর পক্ষ থেকেই হয় এবং মৃত্যুর পর পনরুজ্জীবন এর প্রতি।
ঈমানের প্রধান বিসয় তিনটি তাওহীদ, রিসালাত ও আখিরাত। ঐ৭টি বিষয় এ তিনটিরই অর্ন্তভূক্ত। তাওহিদের মধ্যে শামিল রয়েছে তিনটি- আল্লাহ, ফেরেশতাগণও তাকদীর।রিসালতের মধ্যে দুটি কিতাবসমূহ ও রাসূলগণ। আর আখিরাতের মধ্যে দুটি- শেষ দিন ও মৃত্যুর পর পুনরুজ্জীবন।
তাওহীদের মধ্যে আল্লাহর সাথে ফেরেশতাকে এ জন্যই শামিল করা হয়েছে যে, ফেরেশতাদের সম্পর্কে মানুষের ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। তাদেরকে আল্লাহর কন্যা বলে বিশ্বাস করা হত। আল্লাহ জানিয়ে দিলেন যে, ফেরেশতারা আল্লাহর দাসও কর্মচারী মাত্র। তারা আল্লাহর কোনো ক্ষমতায় সামান্যতম শরীকও নয়। তাদের সম্পর্কে এ ধারণা থাকলে আল্লাহর সাথে কোনো দিক দিয়েই তাদেরকে শরীক করার আশঙ্কা থাকে না।
তাকদীর মানে সর্ববিষয়ে চূড়ান্ত ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহর হাতে। যে বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত তিনি করেন, সেটাই তাকদীর। মানুষের জীবনে ভালো ও মন্দ যাই ঘটে তা আল্লাহর সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই ঘটে থাকে। সেখানে অন্য কোন শক্তির হাত নেই। আল্লাহর এই একচ্ছত্র আধিপত্য ও কর্তৃত্ব তাওহূদেরই অর্ন্তভূক্ত।