পুঁজিবাজারে বাড়তি বিনিয়োগ সমন্বয়ের সময় বাড়ছে ২ বছর

প্রকাশ: ২০১৫-১১-১৫ ১৮:১৯:১০


DSE_CSE_logoপুঁজিবাজারে ব্যাংক ও নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বাড়তি বিনিয়োগ সমন্বয়ের সময় সীমা দুই বছর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। রোববার শেরে বাংলা নগরের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

এ নিয়ে সর্বপ্রথম সংবাদ প্রকাশ করে দেশের প্রথম বিজনেস অনলাইন পোর্টাল অর্থসূচক।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যাংক আইনের কারণে ক্যাপিটেল মার্কেট একটু অ্যাফেক্ট হচ্ছে। এই আইন ক্যাপিটেল মার্কেটে একটা প্যানিক সৃষ্টি করেছে। আমরা আইনটা সংশোধন করে বাড়তি বিনিয়োগ সমন্বয়ের সময় সীমা  দুই বছর বাড়িয়ে দিব।

তিনি জানান, সংশোধনীর জন্য আইনটি দ্রুত মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের জন্য তোলা হবে।

উল্লেখ্য, গত ১ নভেম্বর পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা ফেরাতে ব্যাংকের বাড়তি বিনিয়োগ (Over Exposure) সমন্বয়ের সময়সীমা দুই বছর বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

এরপর গত  ৮ নভেম্বর ব্যাংক ও নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বাড়তি বিনিয়োগ সমন্বয়ে ২০২০ সাল পর্যন্ত সময় চান প্রতিষ্ঠানগুলোর সাবসিডিয়ারির প্রধানরা। তখন এই প্রস্তাব প্রতিষ্ঠাগুলোর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) জমা দেওয়া হয়।

এর পরের দিনই ৯ নভেম্বর বিএসইসি প্রস্তাবটি অর্থমন্ত্রণালয়ে পাঠায়। অর্থমন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয় পরের দিনই (১০ নভেম্বর ) প্রস্তাবটি বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো হবে।

পরের দিন বুধবার ১১ নভেম্বর অর্থমন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত ফিসক্যাল কো-অর্ডিনেশন কমিটির বৈঠকে সময় বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সংশ্লিষ্টরা একমত পোষণ করেন।

তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর দেশে না থাকায় তখন চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। সে সময় জানানো হয় গভর্নর দেশে ফিরলেই এ বিষয়ে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হবে।

প্রসঙ্গত, ব্যাংক কোম্পানি আইনের সর্বশেষ সংশোধনীতে আরোপিত শর্তের কারণে পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগের বিনিয়োগের সক্ষমতা কমে গেছে। আগে প্রতিটি ব্যাংক তার আমানতের ১০ শতাংশ পর্যন্ত পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারতো। ২০১৩ সালের সংশোধনী অনুসারে এখন ব্যাংকগুলো নিজ নিজ রেগুলেটরি মূলধনের ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারে। আইনের এই সংশোধনীর ফলে আগের আইনে বিনিয়োগ করা কয়েকটি ব্যাংকের বিনিয়োগের পরিমাণ সীমার বাইরে পড়ে গেছে। এ ব্যাংকগুলোর উপর ২০১৩ সালের জুনের মধ্যে বাড়তি বিনিয়োগ সমন্বয়ের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এটি করতে হলে ব্যাংকগুলোকে বিপুল পরিমাণ শেয়ার বিক্রি করতে হবে। কিন্তু মন্দা বাজারে সেটি সম্ভব হচ্ছে না। এরা শেয়ার বিক্রি করলে তার চাপে বাজারে শেয়ারের দাম অনেক কমে যেতে পারে এমন আশংকা অন্যান্য অনেক বিনিয়োগকারী হাত গুটিয়ে বসে আছে।এতে বাজার মন্দার বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে।

২০১০ সালের ৪ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের বিআরপিডি এক সার্কুলার জারির মাধ্যমে পুঁজিবাজারকে ‘অনুৎপাদনশীল খাত’ হিসেবে অভিহিত করে। এ খাতে সব ধরনের ঋণপ্রবাহ দৃঢ়ভাবে নিরুত্সাহিত করার পাশাপাশি এরই মধ্যে বিতরণকৃত ঋণে কঠোর নজরদারি আরোপ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।