স্মার্টফোনে ‘বেডটাইম মুড’ রাখার পরামর্শ
প্রকাশ: ২০১৫-১১-১৬ ১২:২৭:৩৪
স্মার্টফোন, ট্যাবলেট ও ই-রিডারের মতো ডিভাইসগুলোতে সংক্রিয় ‘বেডটাইম মুড’ থাকা উচিত বলে মনে করেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসকরা মনে করেন, এই ডিভাইসগুলো থেকে বিকিরিত আলো মানুষের ঘুমের ভয়ানক ব্যঘাত ঘটায়।
এই অবস্থায় নির্মাতাদের প্রতি উল্লেখিত ডিভাইসগুলোতে ‘বেডটাইম মুড’ সংযোজনের পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
সম্প্রতি ব্রিটেনের স্বাস্থ্য সাময়িকী ফ্রন্টেয়ার ইন পাবলিক হেলথে মানুষের ঘুমের ওপর বিভিন্ন ধরনের আলোর প্রভাব নিয়ে করা এক গবেষণার নিবন্ধ প্রকাশিত হয়।
ওই গবেষণার অন্যমত গবেষক ও ব্রিটেনের রাজধানী শহর লন্ডনের ইভেলিনা শিশু হাসপাতালের বিখ্যাত চিকিৎসক প্রফেসর পল গ্রিনগ্রাস জানান, সাধারণত স্মার্টফোন বা ট্যাবলেটের মতো যন্ত্রগুলো এক ধরনে নীল আলো বিকিরণ করে যা মানুষের ঘুমের ব্যঘাত ঘটায়।
তিনি বলেন, এই ধরনের যন্ত্রগুলো দিনের বেলায় আমাদের জন্য খুবই উপকারী হলেও রাতে তা সমানভাবেই ক্ষতিকর হয়ে ওঠে।
এই অবস্থায় তার পরামর্শ, এমন একটি ব্যবস্থা স্মার্টফোন,ট্যাবলেট ও ই-রিডারের মতো ডিভাইসগুলোতে ব্যবহার করা হোক যা ওই নীল আলোর বিকিরণ ফিল্টার করতে পারবে।
প্রফেসর গ্রিনগ্রাস জানান, চারপাশে যখন অন্ধকার নেমে আসে তখন শরীর আপনা আপনি কিছু হরমন নিঃসরণ করে।ওই হরমনই আমদের ঘুমাতে সাহায্য করে। কিন্তু শরীরের কাছাকাছি নীলচে রঙের আলোর বিকিরণ হলে সহসা ঘুম আসবে না।
তবে ঘুমের সময় বা আগে এই নীলচে আলোর বিকিরণ না হলে সহসাই ঘুম এসে যাবে চোখে।
তবে ঘুমের হরমন নিঃসরণে কেবল নীল আলোই বাধা দেয় না, সবুজ বা মোবাইল ফোনের হলদেটে আলোও ঘুমের ব্যঘাত ঘটায়।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রফেসর পল গ্রিনগ্রাস বিষয়টি নিয়ে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
সেই সাথে এই ব্যবস্থাটি যেন সংক্রিয় বা অটোমেটিক হয় সে দিকেও খেয়াল রাখার পরামর্শ দিয়েছেন পল প্রিনগ্রাস।