রংপুরে পৌঁছেছে এরশাদের মরদেহ, দাফন ঢাকাতেই: জিএম কাদের
সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০১৯-০৭-১৬ ১২:২৩:৩৫
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মরদেহ নিয়ে তার নিজের এলাকা রংপুরে পৌঁছেছেন তার ভাই জি এম কাদের।
তিনি বলেছেন,এরশাদের জানাজা রংপুরে হওয়ার পর ঢাকার বনানীতে সেনা কবরস্থানেই দাফন হবে বিরোধীদলীয় নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে।
এদিকে এরশাদের নির্বাচনী এলাকা রংপুরের নেতাকর্মীরা তাকে সেখানেই দাফন করার দাবি জানিয়ে আসছেন। ইতোমধ্যে এরশাদের রংপুরের বাড়ি পল্লীনিবাসের লিচুবাগানে তারা কবরও খুঁড়ে ফেলেছেন।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এ টি ইউ তাজ রহমান জানান, মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ঢাকা সিএমএইচ থেকে এরশাদের কফিন নিয়ে রংপুর ক্যান্টনমেন্টে পৌঁছায় বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার।
জি এম কাদেরের পাশাপাশি এরশাদের বড় ছেলে রাহগির আল মাহি সাদ এরশাদ, জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও রংপুর-৩ (সদর) আসনের সাংসদ মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ এবং সাবেক মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার ঢাকা থেকে রংপুরে গেছেন।
বেলা দেড়টায় রংপুর শহরের কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে হবে এরশাদের জানাজা। ইতোমধ্যে সেখানে কঠোর নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে রংপুর জেলা পুলিশ। জানাজা শেষেই এরশাদের মরদেহ আবার ঢাকায় ফিরিয়ে এনে বনানীর সেনা কবরস্থানে দাফনের কথা রয়েছে।
কিন্তু রংপুরের মেয়র ও জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ঘোষণা দিয়েছেন, তারা ‘যেকোনো মূল্যে’ এরশাদের মরদেহ রংপুরে রেখে দেবেন।
তার যুক্তি, বনানী সেনানিবাস কবরস্থানে এরশাদের মরদেহ দাফন করা হলে পরে দলের সাধারণ নেতাকর্মীরা সে কবরে গিয়ে সহজে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারবেন না। পরে তারা এরশাদের বাড়ি রংপুরের পল্লী নিবাসে কবরও খুঁড়ে রেখেছেন।
এরশাদ নিজেই পল্লীনিবাসের প্রাঙ্গণে শায়িত হতে চেয়েছিলেন- এমন কথাও রংপুরের নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে।
কিন্তু এরশাদের কফিন নিয়ে রংপুরে রওনা দেওয়ার আগে জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, “উনার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী বনানীতে সেনাবাহিনীর কবরস্থানেই তাকে সমাহিত করা হবে। এই কবরস্থান ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় হলেও যে কোনো সময় যে কেউ সেখানে যেতে পারে।”
মাইডোলিসপ্লাস্টিক সিনড্রোমে আক্রান্ত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দশ দিন ঢাকা সিএমএইচে লাইফ সাপোর্টে থাকার পর রোববার সকালে মারা যান।