রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক
সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০১৯-০৭-১৮ ১০:৩৫:২৭
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি । এই বৈঠকে চলমান রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়টি প্রাধান্য পায় বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
নিউ ইয়র্কের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বিকালের ওই বৈঠকে জাতিসংঘ মহাসচিব চলমান রোহিঙ্গা সঙ্কটের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা ইস্যুটির টেকসই সমাধানে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও জোরালো সহায়তা চাইলে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, এই সঙ্কটের সমাধানে তিনি সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের করণীয় সম্বন্ধে সুনির্দিষ্ট বেশকিছু বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয় এ বৈঠকে। মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজ রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের জনগণের উদারতা ও মানবিক সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ও ধন্যবাদ জানান।
বিশ্বব্যাপী জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করার বিষয়ে জাতিসংঘ ও জাতিসংঘের মহাসচিবের অংশগ্রহণ, উপস্থিতি ও সম্পৃক্ততার অনুরোধ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সিনেটর লুইস্ সেপুলভেদার সৌজন্য সাক্ষাৎ
নিউ ইয়র্ক স্টেটের সিনেট ডিস্ট্রিক-৩২ এর সিনেটর লুইস্ সেপুলভেদা জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ.কে. আব্দুল মোমেনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। তিনি বাংলাদেশের প্রতি তাঁর আগ্রহের কথা তুলে ধরে সিনেটরদের একটি টিম নিয়ে বাংলাদেশ সফরে যাওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। এ সময় মিশনে উপস্থিত বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সাথেও সাক্ষাৎ হয় এই সিনেটরের। স্পিকারও সিনেটরদের এই টিমকে বাংলাদেশ সফরে স্বাগত জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে এই সৌজন্য সাক্ষাতে উঠে আসে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্যের বিভিন্ন দিক। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের বিনিয়োগ সম্ভাবনা তুলে ধরেন। প্রাকৃতিক তন্তু পাট ও পাটজাত দ্রব্যের ব্যবহারের সুফল এবং এসকল দ্রব্য ও পণ্য বাংলাদেশ থেকে আমদানি করার ক্ষেত্রে সিনেটরদের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বাংলাদেশের জিএসপি’র বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি সিনেটর লুইস্কে বলেন, তিনি যেন তাঁর ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক যোগাযোগ ব্যবহার করে এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে ভূমিকা রাখেন। লুইস এ বিষয়টির সমাধানে আন্তরিকভাবে কাজ করবেন মর্মে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানান।