কপারটেকের বিষয়ে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে পদক্ষেপ জানাতে বিএসইসির নির্দেশ
পুঁজিবাজার ডেস্ক প্রকাশ: ২০১৯-০৭-২৫ ১০:১৪:০৪
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষকে আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজকে তালিকাভুক্ত করার বিষয়ে গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে জানানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ডিএসই কর্তৃপক্ষের এক চিঠির জবাবে কমিশন এই নির্দেশ দিয়েছে। বুধবার (২৪ জুলাই) এ নির্দেশ দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
গত ২৩ জুলাই কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজকে তালিকাভুক্ত করার জন্য ডিএসই লিস্টিং রুলস, ৫ এর ৩ ধারা থেকে অব্যাহতি (ওয়েভার) চেয়ে বিএসইসিতে চিঠি দেয় ডিএসই কর্তৃপক্ষ। ডিএসই লিস্টিং রুলস, ৫ এর ৩ ধারা অনুযায়ী, কোনো কোম্পানি প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করলে ওই কোম্পানির আইপিও সাবস্ক্রিপশন (আইপিও আবেদন গ্রহণ) শেষ হওয়ার ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে তালিকাভুক্ত হতে হবে। তবে কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজের ক্ষেত্রে সেই সময় অনেক আগেই পার হয়ে গেছে। ফলে ওই ধারাটি থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করে ডিএসই।
ডিএসইর চিঠির ১ দিনের ব্যবধানে কমিশন তাদের জবাব জানিয়ে চিঠি দেয়। এক্ষেত্রে তারা ডিএসইর প্রস্তাবিত লিস্টিং রুলস, ৫ এর ৩ ধারা থেকে অব্যাহতি না দিয়ে, ৫ এর ৪ ধারা অনুযায়ি ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। যে ধারায় বলা হয়েছে, স্টক এক্সচেঞ্জ তালিকাভুক্তি নিয়ে যেকোন রিক্যায়ারমেন্ট বা প্রভিশনিং শীথিল করতে পারবে।
এর আগে ২২ জুলাই আইনগতভাবে কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজকে তালিকাভুক্ত করার সুযোগ না থাকায় লিস্টিং রুলস, ৫ এর ৩ ধারা থেকে অব্যাহতির জন্য বিএসইসির অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নেয় ডিএসই পর্ষদ।
উল্লেখ, গত ৯ জুন আইপিওর বরাদ্দ পাওয়া কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শেয়ার শেয়ারহোল্ডারদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাবে জমা হয়েছে। গত ৩০ এপ্রিল লটারির মাধ্যমে কোম্পানিটির আইপিওতে আবেদনকারীদের মধ্যে শেয়ার বরাদ্দ দেয়া হয়।
এর আগে ৩১ মার্চ থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত কোম্পানিটির আইপিওতে আবেদন গ্রহণ করা হয়। গত ২৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৬৭০তম সভায় কোম্পানিটির আইপিও অনুমোদন দেয়া হয়।
কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজ পুঁজিবাজার থেকে ২ কোটি শেয়ার ছেড়ে ২০ কোটি টাকা উত্তোলন করে। এ জন্য প্রতিটি শেয়ারের মূল্য নেয়া হয়েছে ১০ টাকা।
কোম্পানিটি প্লান্ট ও যন্ত্রপাতি ক্রয় ও স্থাপন, ভবন ও সিভিল ওয়ার্ক খাত, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয়ের জন্য শেয়ারবাজার থেকে এ পরিমাণ অর্থ উত্তোলন করে।
৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত বছরের সর্বশেষ নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী পুন:মূল্যায়ন ছাড়া নীট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস রিভ্যালুয়েশন ছাড়া) দাঁড়িয়েছে ১২.০৬ টাকা (কোম্পানিটি কোনো সম্পদ পুন:মূল্যায়ন করেনি) এবং শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ২.৬০ টাকা ও ডায়লুটেড শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১.০৩ টাকা। ভারিত গড় হারে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ০.৮৭ টাকা।
আইপিওতে কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে এমটিবি ক্যাপিটাল লিমিটেড।
সান বিডি/এসকেএস