৪ প্রতিষ্ঠান পেল জাতীয় উৎপাদনশীলতা পুরস্কার
সান বিডি ডেস্ক আপডেট: ২০১৯-০৭-২৮ ১৫:২৭:১৭
শিল্পখাতে উৎপাদনশীলতা বাড়ানোসহ বিশেষ অবদানের জন্য জাতীয় উৎপাদনশীলতা পুরস্কার -২০১৮ পেল দেশের বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চার প্রতিষ্ঠান।
পুরস্কার পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো: ময়মনসিংহ এগ্রো, অলপ্লাস্ট বাংলাদেশ লিমিটেড, বঙ্গ বেকারস লিমিটেড এবং সান বেসিক কেমিক্যালস।
রোববার রাজধানীর কাকরাইলে আইডিইবি ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিদের হাতে পুরস্কারের সনদ ও ট্রফি প্রদান করেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
শিল্পসচিব আবদুল হালিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশনের (এনপিও) পরিচালক এসএম আশরাফুজ্জামান।
জুস, কোমলপানীয় তৈরি করছে ময়মনসিংহ এগ্রো লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি বৃহৎ শিল্প ক্যাটাগরির খাদ্য উপ-খাতে প্রথম পুরস্কার পেয়েছে। শিল্পমন্ত্রীর কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইলিয়াছ মৃধা।
অলপ্লাস্ট বাংলাদেশ লিমিটেড দেশের শীর্ষ স্থানীয় প্লাস্টিক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। বৃহৎ শিল্প ক্যাটাগরির কেমিক্যাল উপ-খাতে নির্বাচিত হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। অলপ্লাস্ট বাংলাদেশের পক্ষে সনদ ও ট্রফি গ্রহণ করেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাঈদ হোসেন চৌধুরী।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বেকারি পণ্য উৎপাদনকারী অন্যতম প্রতিষ্ঠান বঙ্গ বেকারস লিমিটেড। উৎপাদনশীলতা বাড়ানোসহ বিশেষ অবদানের জন্য ক্ষুদ্র শিল্প ক্যাটাগরিতে প্রথম হওয়া প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন বঙ্গ বেকারস-এর চিফ অপারেটিং অফিসার অনিমেশ সাহা।
সাবান, শ্যাম্পু, নারকেল, লিকুইড ডিশ ওয়াশিং, হ্যান্ডওয়াশ, টয়লেট ক্লিনারসহ সব ধরনের লন্ড্রি পণ্য উৎপাদনকারী অন্যতম প্রতিষ্ঠান সান বেসিক কেমিক্যাল লিমিটেড। ক্ষুদ্র শিল্পে দ্বিতীয় স্থান অধিকারী প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে পুরস্কারের সনদ ও ট্রফি গ্রহণ করেন চিফ অপারেটিং অফিসার রুহুল এস তালুকদার সুমন।
পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন প্রাণ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ইলিয়াছ মৃধা। তিনি বলেন, প্রতিযোগিতামূলকভাবে পণ্য উৎপাদন, বিপণন ও গুণগত মান নিশ্চিতের ক্ষেত্রে আমাদের অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে। ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অ্যান্ড কোয়ালিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডের মতো সম্মাননা প্রদান অত্যন্ত ভালো একটি উদ্যোগ। এভাবে শিল্পকে পুরস্কৃত করলে আগামীতে এ খাত আরও এগিয়ে যাবে। প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ-এর চারটি প্রতিষ্ঠান আজ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছে। এভাবে অনুপ্রেরণা দেয়া হলে বাংলাদেশে আরও অনেক শিল্প গতিশীল হবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।
এছাড়া ২০১৮ সালে ৬টি ক্যাটাগরিতে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চার প্রতিষ্ঠানসহ ২৮টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অ্যান্ড কোয়ালিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-এ পুরস্কার দেয়া হয়। এর মধ্যে বৃহৎ, মাঝারি, ক্ষুদ্র, মাইক্রো, কুটির এবং রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে।
প্রতিষ্ঠানগুলো হলো-
বৃহৎ শিল্প ক্যাটাগরির টেক্সটাইল অ্যান্ড আরএমজি উপ-খাতে নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- স্কয়ার ফ্যাশনস লিমিটেড, জেনেসিস ফ্যাশনস এবং উইজডম অ্যাটয়ার্স লিমিটেড।
বৃহৎ শিল্প ক্যাটাগরির খাদ্য উপ-খাতে নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- ময়মনসিংহ এগ্রো, স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ ও অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।
বৃহৎ শিল্প ক্যাটাগরির কেমিক্যাল উপ-খাতে নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, এসিআই গোদরেজ এগ্রোভেট প্রাইভেট ও অলপ্লাস্ট বাংলাদেশ লিমিটেড।
বৃহৎ শিল্প ক্যাটাগরির ইস্পাত ও প্রকৌশল উপ-খাতে নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং মিলস লিমিটেড, বিআরবি কেবল ইন্ডাস্ট্রিজ ও ইফাদ অটোজ লিমিটেড।
বৃহৎ শিল্প ক্যাটাগরির অন্যান্য নির্বাচিত প্রতিষ্ঠান হলো- স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি ও ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।
মাঝারি শিল্প ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত প্রতিষ্ঠান হলো- ডিভাইন আইটি লিমিটেড, সা’দ মুসা ফেব্রিক্স ও কিউ এনএস কন্টেইনার সার্ভিসেস।
ক্ষুদ্র শিল্প ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- বঙ্গ বেকারস লিমিটেড, সান বেসিক কেমিক্যালস ও মাসকোওভারসিস্ লিমিটেড।
মাইক্রো শিল্প ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- স্মার্টলেদার প্রোডাক্টস ও অনন্যা কিন্ডারগার্টেন স্কুল।
কুটির শিল্প ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- গৃহসুখন বুটিকস ও হামিম ল্যাসিক বিউটি পার্লার।
রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার ও খুলনা শিপইয়ার্ড লি।
এছাড়া, ইনস্টিটিউশনাল এপ্রিসিয়েশন ক্রেস্ট-২০১৮ এর জন্য নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- জাতীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমিতি, বাংলাদেশ (নাসিব), বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) এবং বাংলাদেশ এগ্রো-প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশন (বাপা)।