ইকোনোমিক জোনে অলআউট সাপোর্ট দেওয়া হবে- অর্থমন্ত্রী
সান বিডি ডেস্ক আপডেট: ২০১৯-১০-০৫ ১৯:৪১:৪৪
নদীমাতৃক বাংলাদেশে নৌকা বাইচ প্রচলিত আছে স্মরণাতীত কাল থেকে। বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও খেলাধুলায় নদ-নদীর উপস্থিতি প্রবল এবং নৌকা বাইচ এদেশের লোকালয় ও সংস্কৃতির এক সমৃদ্ধ ফসল। আমাদের বিভিন্ন লোকজ ক্রীড়ার মধ্যে অন্যতম একটি নাম নৌকাবাইচ। আবহমান গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ যখন হারিয়ে যাওয়ার পথে ঠিক তখনই কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের সহায়তায় মেঘনা নদীতে এই নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা। ঐতিহ্যবাহী মেঘনা নদীর পাড়ে এমনই একটি আয়োজনে উৎসবে মেতে উঠেছে এলাকার হাজার হাজার মানুষ। খেলাধুলার উন্নয়নে বর্তমান সরকার অত্যন্ত আন্তরিক। খেলাধুলার প্রসারে বর্তমান সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের ছেলে-মেয়েরা যেন খেলাধুলার প্রতি মনোযোগী হয়, সেদিকেও আমাদের আন্তরিকতার অভাব নেই। বাংলাদেশ খেলাধুলায় অনেক এগিয়ে গেছে, বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা শুধু দেশে নয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়েও সুনাম বয়ে আনছে।
অর্থমন্ত্রী মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আজ ৫ অক্টোবর শনিবার দুপুরে কুমিল্লার দাউদকান্দিতে জেলা প্রশাসক নৌকা বাইচ প্রতিযোগী ২০১৯ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
এর আগে অর্থমন্ত্রী মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার বাউশিয়া এলাকার আব্দুল মোমেন অর্থনৈতিক অঞ্চলে বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড ফ্যাক্টরি ঘুরে দেখেন। সেখানে তিনি বলেন, মাত্র নয় থেকে ১০ মাসের মধ্যে এই (হুন্ডার) ফ্যাক্টরি উৎপাদন কাযর্ক্রম শুরু করেছে। এটা একটা উদাহরণ যে বাংলাদেশে কম সময়ে ব্যবসা শুরু করা যায়।
আমি মনে করি অন্য জাপানি যে কম্পানি আছে তারাও হুন্ডার দেখাদেখি উৎসাহিত হেয়ে বিনিয়োগ করবে। অন্য বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোও আসবে। এ বিশেষ ইকোনোমিক অঞ্চল খুব অল্প সময়ে ডেভলপ করেছে আব্দুল মোমেন গ্রুপ। আমাদের সরকারের যে পরিকল্পনা সেটা হলো ইকোনোমিক জোনে অলআউট সাপোর্ট দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, তাদের কোন রকম সমস্যা হলে সেটা সমাধানে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কোথাও কোন শিল্প কারখানা যদি কোন সমস্যা ফেস করে আমাদের বললে সেটা সুরাহা করবো। বিশেষ ইকোনেমিক জোন কর্তৃপক্ষ আছে এ ব্যাপারে তারও কাজ করছে। মিরসরাই বিশেষ ইকোনোমিক জোনে অসাধারণ কর্মতৎপরতা শুরু হয়েছে। মাতারবাড়িতে শুরু হয়েছে। আমাদের প্রতিটা ইকোনোমিক জোনে না হলেও চার ভাগের এক ভাগ ইমোনোকি জোনের প্রগ্রেস খুব ভালো। মুন্সিগঞ্জে ২৫ একর জমির ওপর প্রায় ২৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে যৌথভাবে এই ফ্যাক্টরি গড়ে তুলেছে হোন্ডা ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ স্টিল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন। প্রাথমিকভাবে এই ফ্যাক্টরিতে বছরে এক লাখ মোটরসাইকেল উৎপাদন করছে।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো: আবুল ফজল মীরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা-১ আসনের সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব:) সুবিদ আলী ভূইয়া এবং চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো: আব্দুল মান্নানসহ প্রমুখ।