প্রবাসীদের অর্থ দেশে আনার সব ব্যবস্থা করবো-অর্থমন্ত্রী
সান বিডি ডেস্ক আপডেট: ২০১৯-১০-০৭ ২১:২৭:২৫
প্রবাসীদের অর্থ বিদেশে রাখলে লাভ দিতে হয় আর বাংলাদেশে রাখলে আপনাদের লাভ দেয় । তাহলে কেন আপনারা বাহিরে টাকা রাখবেন। আপনাদের সকলের অর্থ যথা সম্মানে দেশে নিয়ে আসার ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। অর্থ ফিরিয়ে আনতে যা যা ব্যবস্থা করতে হয় আমি তা করবো।
সোমবার (৭ অক্টোবর) ইনিস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে বাংলাদেশ ব্যাংক রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড ২০১৮ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
এসময় মন্ত্রী শিল্প বিপ্লবের কথা টেনে বলেন, প্রথম শিল্পবিপ্লব হয়েছে মেকানাইজের মাধ্যমে, দ্বিতীয় শিল্পবিপ্লব হয়েছে ইন্ডাস্ট্রির মাধ্যমে, তৃতীয় শিল্পবিপ্লব হয়েছে কম্পিউটারের মাধ্যমে। চতুর্থ প্রথম শিল্পবিপ্লব দরজায় নাড়া দিচ্ছে । চতুর্থ শিল্পবিপ্লব বাস্তবায়ন করতে হলে সে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।
এসময় তিনি বলেন, সকল অর্থখাত যদি ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে বন্ধ হয়ে যায় তাহলেও একটি খাত চালু থাকবে তা হচ্ছে রেমিট্যান্স খাত । আগে আমাদের দেশের রেমিট্যান্স ছিলো ৪০০ বিলিয়ন ডলার। ভারতের রেমিট্যান্স ৮০ মিলিয়ন ডলার, চীনের ৬৭ মিলিয়ন ডলার, আর সেখানে বাংলাদেশের মাত্র ১৫-১৬ মিলিয়ন ডলার।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, সেন্টার ফর ইকোনোমিক রিসার্চ বলেছে সারা বিশ্বে জিডিপিতে সর্বোচ্চ অর্জন বালাদেশের । অর্থনীতিতে ১৯৩ টি দেশের মধ্যে ২০৩০ সালে ২৭ তম হবে বাংলাদেশ । ২০৩৩ সালে বাংলাদেশ হবে ২৪ তম।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্ম সংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজা। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জালাল।
“ব্যাংকিং চ্যানেলে পাঠাবো টাকা সচল রাখবো উন্নয়নের চাকা” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে প্রবাসী বাংলাদেশীদেরকে ব্যাংকিং চ্যানেলে বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণের জন্য সম্মানিত ও অনুপ্রাণিত করতে এবং অধিক পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণে উৎসাহিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের আয়োজনে ২০১৪ সাল থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড প্রবর্তন করা হয়। এরই ধারাবহিকতায় এবারে ৬ষ্ঠ বারের মতো এ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্ট এ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে। এবারের আয়োজনে ৫ টি ক্যাটাগরিতে (সাধারণ পেশাজীবী, বিশেষঙ্গ পেশাজীবী, ব্যবসায়ী, রেমিট্যান্স আহরণকারী ব্যাংক ও রেমিট্যান্স প্রেরণকারী অনিবাসী বাংলাদেশী মালিকানাধীন এক্সচেঞ্জ হাউজ) মোট ৩৬ টি অ্যাওয়ার্ড প্রধান করা হয়। ২৮ জন ব্যক্তি, ৫টি ব্যাংক, ৩টি এক্সচেঞ্জ হাউকে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়।
ব্যাংক গুলো হলো- ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড,অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড, সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড, জনতা ব্যাংক লিমিটেড। এক্সচেঞ্জগুলো হলো- ন্যাশনাল এক্সচেঞ্জ কোম্পানি এসআরএল, এনসিই মানি ট্রান্সফার লিমিটেড, প্লাসিড এনকে কর্পোরেশন। ব্যাংকের পক্ষে সম্মাননা গ্রহণ করেন ব্যাংক গুলোর সিইও এন্ড এমডিরা।
সানবিডি/এসকেএস