মোকাবিলা করতে পারবেন রানা?

সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০১৯-১০-০৮ ১৮:২৯:০৯


দু’দিন বাদেই বাংলাদেশকে দিতে হবে অগ্নিপরীক্ষা। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ‘ই’ গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে তাদের মোকাবিলা করতে হবে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন কাতারের। দেশের মাটিতে ১০ অক্টোবর সেই ম্যাচের জন্য কতটা প্রস্তুত বাংলাদেশ?

প্রবল প্রতিপক্ষের আক্রমণ সামলে দিতে পারবে তো জাতীয় দলের ফুটবলাররা? নাকি বড় হারের লজ্জায় ডুবতে হবে খোদ দেশের মাটিতে? এ নিয়ে রয়েছে অনেক শঙ্কা। তবে এটা বলে দেওয়াই যায়, গ্রুপের সবচেয়ে দুর্বল প্রতিপক্ষকে সামনে পেয়ে কাতার চাইবে হামলে পরতে। তাতে মূল পরীক্ষাটাই দিতে হবে বাংলাদেশের ডিফেন্ডার এবং গোলরক্ষককে।

র‌্যাংকিংয়ে ৬২তম স্থানে থাকা কাতার খেলবে ১৮৭তম বাংলাদেশের বিপক্ষে। এখানেই পরিষ্কার দু’দলের সামর্থ্যরে ফারাক। কিন্তু কখনো কখনো র‌্যাংকিংয়ের ব্যবধানটা যে বড় হয়ে দাঁড়ায় না তার উজ্জ্বল প্রমাণ এই কাতারই পেয়েছে তাদের আগের ম্যাচে। নিজেদের মাঠে তারা গোলশূন্য ড্র করেছে ভারতের সঙ্গে।

আর ভারতকে জয়ের সমান এই ড্র পাইয়ে দিতে বড় ভূমিকা ছিল গোলরক্ষক গুরপ্রিত সিং সান্ধুর। পুরো ম্যাচজুড়ে শক্ত হাতে ঠেকিয়ে দিয়েছেন কাতারি আক্রমণ সৈনিকদের সুনামি। গোটা ম্যাচে ২৭টি অন টার্গেট শট ছিল কাতারিদের। কিন্তু কোনোটাই পরাস্ত করতে পারেনি গুরপ্রিতকে। নিজেদের জাল রেখেছেন অক্ষত।

তো, পাশের দেশের গুরপ্রিত যদি পারেন হিরো বনে যেতে, তবে বাংলাদেশের আশরাফুল ইসলাম রানা কেন পারবেন না? রানা নিজেই বলেছেন গুরপ্রিতের এই সাহসিকতা অনুপ্রাণিত করে তুলছে তাকেও। ভারত-কাতার ম্যাচের ভিডিও দেখে সেই অনুপ্রেরণাটাই নিতে চাইছেন বাংলাদেশের এক নম্বর গোলরক্ষক।

কাতারের বিপক্ষে থাকতে চাইছেন অকুতোভয়, ‘কাতার শক্তিশালী দল। তাদের বিপক্ষে ভালো খেলা কঠিন। বেশির ভাগ সময়ই হয়তো তাদের আক্রমণ সামলাতে হবে আমাদের। কিন্তু তাই বলে ভয় পাচ্ছি না মোটেও। নিজেকে সেভাবেই তৈরি করছি। যেন গোল হজম করতে না হয়। ভারতের গোলকিপার খুব ভালো খেলেছেন সেই ম্যাচটি। আমার বিশ্বাস আছে, আমিও পারব যদি খেলার সুযোগ পাই।’

২০১৬ সালে বাংলাদেশ একটি প্রীতি ম্যাচ খেলেছিল আরেক শক্তিশালী দল সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে। সেই ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছিল ৬-১ ব্যবধানে। প্রথমার্ধ ছিল ১-১। সেই ম্যাচের উদাহরণ টেনে রানা বলেন, ‘সেই ম্যাচে আমি প্রতিপক্ষের ১১টি প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছিলাম। সুবাদে প্রথমার্ধ ছিল ১-১। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য তাদের রোখা যায়নি। এমন ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতাগুলো কাতারের বিপক্ষে কাজে লাগবে।’

কাতারের মতো প্রতিপক্ষকে রুখতে তার সতীর্থদের কাছ থেকে সহায়তা চাইছেন রানা। বিশেষ করে ডিফেন্স লাইন যাতে ভুল কম করে সেটাই চাওয়া এই গোলরক্ষকের, ‘যদি আমার সামনে রক্ষণভাগ ভালোভাবে প্রতিরোধ গড়তে পারে, তাহলে হয়তো কাতারকে রুখে দেওয়া যাবে। এ জন্য পেছন থেকে তাদের নির্দেশনা দিতে হবে আমাকে। তাই স্বভাবতই বাড়তি চাপ থাকবে।’

৫৭ সদস্যের কাতার দলের আজ দিবাগত রাতে ঢাকায় পা রাখার কথা রয়েছে।

সানবিডি/ঢাকা/এসআই