ফেসবুক কি আসলেই বন্ধ?

আপডেট: ২০১৫-১১-২০ ২০:১০:৪৮


no-facebookফেসবুক কি আসলেই বন্ধ? এমন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে সর্বত্র। গতকাল বুধবার সাকা-মুজাহিদের ফাঁসি বহাল রেখে রায় দেয়ার পর ফেসবুক বন্ধ করার ঘোষণা দেয় সরকার। এর পর অনেককেই ফেসবুকে সক্রিয় দেখা গেছে।অনেকে আবার স্ট্যাটাসও দিচ্ছে।

আজ বৃহস্পতিবার ফেসবুকে একজনের স্ট্যাটাসটি ছিল এরকম- “মোবাইল ফোনে নেদারল্যান্ডস আর পিসিতে যুক্তরাষ্ট্রে আছি”। এর নিচে কমেন্টে কেউ লিখেছেন “আমি যুক্তরাষ্ট্রে”, আবার কেউ লিখেছেন “আমি জার্মানিতে” অথবা “আমি জাপানে”।

এখন প্রশ্ন হলো বাংলাদেশের সরকার ফেসবুক, ভাইবার এবং হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়ার পর ফেসবুকে সবাই কি বিদেশ থেকে “চেক ইন” করছেন?

ওপরের স্ট্যাটাস কিংবা কমেন্টদাতারা সবাই-ই বাংলাদেশ থেকে নিজেদের ফোন বা কম্পিউটার থেকেই ফেসবুক ব্যবহার করে এসব বক্তব্য দিচ্ছেন।অর্থাৎ দেশের ভেতরে ফেসবুক বন্ধের ঘোষণা থাকলেও ঠিকই তা ব্যবহার করা যাচ্ছ । কিন্তু কিভাবে?

বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিবিসিকে বলেছেন, তথ্য প্রযুক্তির এই সময়ে এসে লোকজনকে এতটা বোকা ভাবার কোন কারণ নেই। তথ্যপ্রযুক্তি এখন কোন জায়গায় চলে গেছে সে সম্পর্কে সরকারের লোকজনের বোধহয় কোনও ধারনাই নেই। কারণ সরকার একদিকে এসব মাধ্যম বন্ধ রাখার ঘোষণা দিচ্ছে। কিন্তু অন্যদিকে বিভিন্ন প্রযুক্তির সাহায্যে এগুলোর ব্যবহার যথারীতি চলছেই”।

সরকার বলছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ফেসবুক, ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ থাকবে।

তিনি জানান, এখন এমন সব সফটওয়্যার আছে যা যে কেউ চাইলেই ইন্টারনেটে ডাউনলোড করে তার সাহায্যে ফেসুবক ব্যবহার করতে পারে। আর সেটাই করা হচ্ছে এখন। এর ফলে একজন ফেসবুকে ঢুকলেও বাংলাদেশের আইপি অ্যাড্রেস সেখানে দেখাবে না। দেখাবে অন্য কোনও দেশের অ্যাড্রেস। এধরনের প্রযুক্তিকে বলে ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক বা ভিপিএন সফটওয়্যার।

এছাড়া মোবাইল ফোন থেকেও বিভিন্ন সফটওয়্যারের মাধ্যমে প্রক্সি সা্ইট ব্যবহার করে ফেসবুক ব্রাউজিং করছেন অনেকে। এমনই একজন বলছিলেন তিনি নিজের নকিয়া মোবাইল থেকে সকালেই ফেসবুক চেক করেছেন।

বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ কর্তৃপক্ষ বিটিআরসি দেশের সব মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ফেসবুক, ফেসবুক মেসেঞ্জার, ভাইবার এবং হোয়াটসঅ্যাপ সেবা অবিলম্বে বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। তবে এ নিষেধাজ্ঞার মাঝেই ফেসবুকে ঢুকতে পেরে এ নিয়ে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন অনেকেই।

আরাফাত সিদ্দিকী নামে একজন্য ব্যবহারকারী লিখেছেন, “ফেসবুক নাই তাতে কি ইউটিউব-এ ঢুকে স্ট্যাটাস দিছি…।” সৈয়দ মিসবাউল আনোয়ার নামে একজন ফেসবুকে ঢুকে ঠাট্টা করে লিখছেন “বাংলাদেশে ফেসবুক বন্ধ ।”

“Install a VPN app”-লিখেছেন মির রাব্বি। এরকম অসংখ্য স্ট্যাটাস দিয়েই সয়লাব আজকের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। তথ্য প্রযুক্তি এতটাই দূরে চলে গেছে যে ভাইবার বা হোয়াটসঅ্যাপেও যোগাযোগের উপায় বের করে নিচ্ছেন অনেকেই।

সানবিডি/ঢাকা/রাআ