চাঁদপুরের নদীভাঙন ঠেকাতে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে শিক্ষামন্ত্রীর চিঠি
সান বিডি ডেস্ক আপডেট: ২০১৯-১০-১৬ ১৯:৫১:৪৮
চাঁদপুরকে ভয়ানক মেঘনার করাল গ্রাস থেকে বাঁচাতে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রীকে ডিমান্ড অব অর্ডার (ডিও) লেটার পাঠিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ও চাঁদপুর-৩ আসনের এমপি ডা. দীপু মনি।
মঙ্গলবার ১৪২ স্মারক সংবলিত ডিও লেটারটি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
এতে শিক্ষামন্ত্রী উল্লেখ করেন, নির্বাচনী এলাকা চাঁদপুর-৩ আসনের চাঁদপুর সদর ও হাইমচর উপজেলার নীলকমল ও ইব্রাহীমপুর ইউনিয়নের মেঘনা নদীর ডান তীরের ঈশানবালা বাজার, আলুর বাজার ও সংলগ্ন এলাকা সংরক্ষণ শীর্ষক প্রকল্পটি জরুরিভিত্তিতে বাস্তবায়ন প্রয়োজন। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে প্রকল্প এলাকায় ১টি সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্প, দুটি বাজার, আলুর বাজার ফেরিঘাট, বিআইডব্লিউটিএ টার্মিনাল ছাড়াও অসংখ্য জনবসতি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ওই চিঠিতে মেঘনা নদীভাঙন রোধে উল্লিখিত প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য পানি সম্পদ উপমন্ত্রীকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
তবে ওই দিনই চিঠি পাওয়ার পর নদীভাঙন রোধে পাউবোকে পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম জরুরি ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন।
এদিকে চাঁদপুরের অব্যাহত নদীভাঙন নিয়ে আক্ষেপ করে ‘ঢাকাস্থ চাঁদপুর জেলা সাংবাদিক ফোরামের’ সভাপতি ও যুগান্তরের বিশেষ প্রতিনিধি মিজান মালিক তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি স্ট্যাটাস দেন। স্ট্যাটাসটি হুবহু তলে ধরা হল- চাঁদপুর যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই আছে। নদীভাঙনের কবল থেকে প্রাচ্যের বাণিজ্য রাজধানী চাঁদপুরকে রক্ষার জন্য স্বাধীনতার পর থেকেই ব্লক ফেলার কাজ চলছে শুনে আসছি। চাঁদপুর আর রক্ষা হচ্ছে না। ব্লক ফেলার নামে ওখানে দুর্নীতি হয় এমন অভিযোগও রয়েছে। কিছু নেতা আর প্রশাসনের কিছু লোক কোটিপতি হয়। চাঁদপুরের দুঃখ আর লাঘব হয় না। নতুন করে যুক্ত হয়েছে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন। এতে ভাঙন আরও ত্বরান্বিত হচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালেও চাঁদপুরকে রক্ষার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন। তার সেই উদ্যোগের কথা কাগজেও আসে। তা আজ স্মরণ করিয়ে দিলেন পিআইবির ডিজি বড় ভাই জাফর ওয়াজেদ।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৪ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চাঁদপুর গিয়ে যে কোনো মূল্যে নদীভাঙন মোকাবিলার সংশ্লিষ্ট সব বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। ওই সময়ে চাঁদপুরের নদীভাঙন নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকেও তিনি সভাপতিত্ব করেছিলেন। বৈঠক শেষে তিনি ওই নির্দেশ দিয়েছিলেন।
তৎকালীন সময়ে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রভাবশালী পত্রিকা বাংলার বাণী গুরুত্বসহকারে খবরটি প্রকাশ করেছিল। তবে বঙ্গবন্ধুর দেয়া প্রতিশ্রুত ও নির্দেশ এখনও বাস্তবায়ন না হওয়ায় স্থানীয়রা হতাশা প্রকাশ করেছেন। তাদের দাবি, ওই ঘোষণার কয়েক যুগ পার হলেও যেন বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ পালন করে চাঁদপুরকে মেঘনার করাল গ্রাস থেকে রক্ষা করা হয়।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস